আলীর যিকর ইবাদত (পর্ব -৩)

আলীর যিকর ইবাদত

(পূর্ব ধারাবাহিকতায়)

‘আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু’র যিকর ইবাদত’ শীর্ষক হাদীসটিকে দ্বা‘ঈফ (দুর্বল) প্রমাণের প্রচেষ্টা আমাকে রীতিমত বিস্মিত করেছে! একজন সুন্নী গবেষক কী করে মধ্যম পন্থা পরিহার করে ‘নসব-খুরূজ’র এতোটা নিকটবর্তী হতে পারে!!!
প্রথমে তার অভিযোগ একটু পর্যবেক্ষণ করুন।
“সনদ পর্যালোচনা:
দ্বিতীয়ত. এ হাদিসের সনদটি অত্যন্ত দুর্বল, এটি আমার নিছক মনগড়া বক্তব্য নয়; বরং আহলে হক মুহাদ্দিসদের অভিমত। যদিও আলবানী এটিকে বাড়াবাড়ি করে জাল বলেছে, আমরা তার সাথে একমত নই। (আলবানী, যঈফু জামে, হা/৩০৪৯)
আল্লামা মুনাভী (রহ.) এ সনদ সম্পর্কে লিখেন-
وفيه الحسن بن صابر قال الذهبي: قال ابن حبان منكر الحديث
সনদে ‘হাসান ইবনু সাবির আল-কাসানী নামক রাবি রয়েছেন, ইমাম যাহাবী (রহ.) বলেন, ইমাম ইবনু হিব্বান (রহ.) বলেন, তিনি আপত্তিকর হাদিস বর্ণনাকারী।” (আল্লামা মুনাভী, ফয়জুল কাদীর, ৩/৫৬৫ পৃ.)

আল্লামা সান‘আনী (রহ.) বলেন-
فيه الحسن بن صابر الكسائي قال الذهبي: قال ابن حبان منكر الحديث
-“সনদে ‘হাসান ইবনু সাবির আল-কাসানী নামক রাবি রয়েছেন, ইমাম যাহাবী (রহ.) বলেন, ইমাম ইবনু হিব্বান (রহ.) বলেন, তিনি আপত্তিকর হাদিস বর্ণনাকারী।” (আল্লামা সান‘আনী, আত-তানভীর শরহু জামেয়িস সাগীর, ৬/১৭৮ পৃ. হা/৪৩৩২-এর আলোচনা।)

তবে ইমাম যাহাবী (রহ.) তার এক কিতাবে উল্লেখ করেন- قال ابن حبان: منكر الحديث جداً -“ইমাম ইবনু হিব্বান (রহ.) বলেন, তিনি অত্যন্ত আপত্তিকর হাদিস বর্ণনাকারী।” (ইমাম যাহাবী, দিওয়ানুদ দ্বুআফা, ১/৮১ পৃ. ক্রমিক. ৯১১)

এছাড়াও উক্ত রাবীর একটি হাদিস উল্লেখ করে ইমাম যাহাবী (রহ.) লিখেন- وهذا كذب. -“এটি (তার) মিথ্যাচার।” (ইমাম যাহাবী, মিযানুল ইতিদাল, ১/৪৯৬ পৃ. ক্রমিক. ১৮৬৬, ইমাম যাহাবী, দিওয়ানুদ দ্বুআফা, ১/৮১ পৃ. ক্রমিক. ৯১১, ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী, লিসানুল মিযান, ৩/৫৮ পৃ. ক্রমিক. ২২৯৪)

ইমাম যাহাবী, ইমাম ইবনু জাওযী (রহ.) এবং শাওকানী এটিকে ভিত্তিহীন বর্ণনা বলেছেন। (ইমাম ইবনু জাওযী, কিতাবুল মাওদ্বুআত, ২/২১৬ পৃ., শাওকানী, ফাওয়াইদুল মাজমুআ, ৩৫৯ পৃ., ইমাম যাহাবী, মিযানুল ইতিদাল, ১/৪৯৬ পৃ. ক্রমিক. ১৮৬৬)
উসূলে হাদিসের দাবী হলো সাধারণ দুর্বল রাবির হাদিস ফাজায়েলে আমলের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য, কিন্তু অত্যন্ত দুর্বল এবং মুনকার হাদিস বর্ণনাকারী গ্রহণযোগ্য নয়। আফসোসের বিষয় হচ্ছে এ কথিত অজ্ঞ শিয়াদের সামনে হাদিসের মান আলোচনা করলেও আমরা হয়ে যাই নাকি আহলে বাইতের দোষমন” !

তাঁর উদ্ধৃত প্রমাণাদির আলোকে স্পষ্ট যে, বর্ণনা পরম্পরায় অভিযুক্ত ব্যক্তি কেবল ‘আলহাসানুবনু সাবির আলকিসাঈ’ এবং মূল অভিযোগকারী ‘ইবনু হিব্বান’ বাকিরা তাঁর অনুগামী মাত্র। অন্যান্যদের মতো পাল্টা অভিযোগে তাঁকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পথ পরিহার করে শুধু এইটুকু বলবো যে, তাওসীক্ব ও তাদ্ব্ঈফে তাঁর হযবরল দশা উলূমে হাদীসের ত্বলিবে ইলম মাত্রই অবগত।
আমরা এখানে অন্য সনদে এই হাদীসের متابع বা অনুগামী এবং شاهد স্বাক্ষী তুলে ধরছি।
#روى الإمام الحافظ الفقيه ابن المغازليّ في ( المناقب ) قال : أخبرنا أبو الحسن أحمد بن المظفّر بن العطّار – الفقيه الشافعيّ – بقراءتي عليه فأقرّ به . قلت : أخبركم أبو محمّد عبد الله بن محمّد بن عثمان المزنيّ – الملقّب بابن السقّا – الحافظ الواسطيّ ، قال : حدّثني محمّد بن عليّ بن معمّر الكوفيّ ، حدّثنا حمدان بن المعافى‏ ، حدّثنا وكيع ، عن هشام بن عروة ، عن أبيه ، عن عائشة ، قالت :
قال رسول اللَّه صلى الله عليه وآله وسلم : ذِكْرُ عليٍّ عبادة- مناقب عليّ بن أبي طالبٍ لابن المغازلي : 195 – 196 .
#روى الرافعيّ في ( التدوين ) بترجمة كادح ابن جعفرٍ أبي عبد الله الزاهد الكوفيّ ، عن الحافظ الخليلي – صاحب «الإرشاد» – قال : حدّثني عبد الله بن محمّدٍ القاضي ، حدّثني محمّد ابن جعفرٍ الواسطيّ – ويُعرف بشعبة – حدّثنا يوسف بن يعقوب ، حدّثنا سليمان ابن الربيع ، حدّثنا كادحٌ ، عن هشام بن عروة ، عن أبيه ، عن عائشة ، قالت : قال رسول اللَّه صلى الله عليه وآله وسلم : ذكر عليٍّ عبادةٌ – التدوين في أخبار قزوين : 54/4
#روى محمّد بن زكريّا الغلابيّ ، عن جعفر بن محمّد بن عمارة ، عن أبيه ، عن جعفر بن محمّدٍ ، عن أبيه ، عن عليّ بن الحسين ، عن أبيه ، عن أمير المؤمنين عليّ بن أبي طالبٍ قال : قال رسول اللَّه صلى الله عليه وآله وسلم :
( النظر إلى عليِّ بن أبي طالبٍ عبادة ، وذِكْره عبادة )
رواه ابن شاذان رحمه الله في «المناقب» المنقبة المائة / 163؛ ومن طريقه الخوارزميّ في المناقب : 2 ، والحمويني في فرائد السمطين : 19/1 ، وكذا أخرجه الصدوق ابن بابويه رحمه الله في الأمالي : 119 .
উল্লিখিত متابع ও شاهد দ্বারা প্রমাণিত যে, ‘আলহাসানুবনু সাবির আলকিসাঈ’ আলোচিত হাদীসের কেবলমাত্র বর্ণনাকারী নন; সনদ থেকে তাঁর নির্গমনের দ্বারা তাঁর কারণে আরোপিত অভিযোগও অপসারিত।
সনদস্থ কোন কোন রাবীর ক্ষেত্রে تشيع এর অভিযোগের ভিত্তিতে কেউ কেউ হয়তো এগুলো থুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চাইবেন। তাঁদের অবগতির জন্য,
وحكى الذهبيّ في ( تذكرة الحفّاظ ) عن أبي أحمد الحاكم ، قال : سمعت أبا الحسين الغازيّ يقول : سألت البخاريّ عن أبي غسّان . قال عمّ تسأل عنه ؟ قلت : شأنه في التشيّع . فقال : على مذهب أئمّة أهل بلده الكوفيين ، ولو رأيتم عبيد اللَّه وأبا نعيمٍ وجميع مشايخنا الكوفيّين لما سألتموني عن أبي غسّان – يعني لشدّتهم في التشيّع – تذكرة الحفّاظ : 978/3 .
واعترف الذهبيّ أيضاً في ( ميزان الإعتدال ) بترجمة أبان بن تَغْلِب : بأنّه لو رُدّ حديث المتشيّعين مطلقاً لذهبت جملة من الآثار النبويّة ، قال : وهذه مفسدة بيّنة . ‏ميزان الاعتدال : 5/1 .

জনাব! আপনাদের এই মনোবৃত্তিকে উসূলে হাদীসের নীতি বানিয়ে নিলে মসনদে আহমদের বিপুল অংশ কেটে ফেলে দিতে হবে; যেহেতু
روى الإمام أحمد في ( مسنده ) عن عبد الرزّاق بن همّامٍ الصنعانيّ ما لعلّه يبلغ نصف مسنده-
অত্যন্ত দুর্বলের ধোঁয়া তুলে হাদীসটির গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নেই। হাফিয জালালুদ্দীন সুয়ূতী বলেন,
وقال الحافظ جلال الدين السيوطيّ : المتروك والمنكر إذا تعدّدت طرقه ارتقى إلى‏ درجة الضعيف القريب ، بل ربّما يرتقي إلى الحسن .النكت البديعات على الموضوعات : 299 .
‘মাতরূক ও মুনকার হাদীসের সনদ যদি বিভিন্ন হয়, তবে তা নূন্যতম দুর্বল বরং কখনো কখনো হাসান পর্যায়ে উপনীত হয়’ আন্নুকাতুল বাদী‘আতু আলাল মাওদ্বূ‘আতি-২৯৮ পৃষ্ঠা।
সুতরাং স্পষ্ট হয়ে গেল যে, বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হওয়ার কারণে হাদীসটি ন্যূনপক্ষে ন্যূনতম তথা লঘু দুর্বল পর্যায়ে পরিগণনতো করতেই হয়। অতএব অত্যন্ত দুর্বল আখ্যা কিংবা ফাদ্বায়িলে আমলের ক্ষেত্রে এর গ্রহণযোগ্যতা কোনটা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ নেই।
বিজ্ঞ গবেষকের দাবি, ‘মুনকার হাদিস বর্ণনাকারী গ্রহণযোগ্য নয়’!
তাঁর এ দাবি সঠিক হলে মুহাম্মদুবনু ইব্রাহীমাবনিল হারিস আত্তায়মীর বর্ণনার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে। তাঁর বিষয়ে আহমদ ইবনু হাম্বলের মতামত দেখুন,
قال أحمد بن حنبل: «في حديثه شيء، يروي أحاديث مناكير أو منكرة، والله أعلم»
شرح علل الترمذي، لابن رجب الحنبلي، جـ 2، صـ 657
অথচ বুখারী শরীফের প্রথম হাদীস, যেটির ভিত্তিতে ফিকহে আহনাফের বহু মাসয়ালা মাসায়েল উদ্ভাবিত; হাদীসটি তাঁর থেকেই বর্ণিত। হাদীসটি সনদসহ তুলে ধরা হলো,
حدثنا الحميدي عبد الله بن الزبير قال حدثنا سفيان قال حدثنا يحيى بن سعيد الأنصاري قال أخبرني محمد بن إبراهيم التيمي أنه سمع علقمة بن وقاص الليثي يقول سمعت عمر بن الخطاب رضي الله عنه على المنبر قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إنما الأعمال بالنيات وإنما لكل امرئ ما نوى فمن كانت هجرته إلى دنيا يصيبها أو إلى امرأة ينكحها فهجرته إلى ما هاجر إليه-
মুনকারুল হাদীস অভিযুক্ত বর্ণনাকারীর বর্ণনা সিহাহ্ ও সুনানে নিছক কম নয়। এ তালিকা বড় দীর্ঘ। উদাহরণ স্বরূপ কয়েকটি উল্লেখ করা হল,
1- أحمد بن شعيب بن سعيد الحبطي، روي له البخاري والنسائي وأبوداود.

قال أبوالفتح الاَزدي: منكَر الحديث، غير مرضيّ.

2- وأسيد بن زيد الجمّال، روي عنه البخاري في الرقاق.

قال ابن حبّان: يروي عن الثقات المناكير، ويسرق الحديث، بل قال ابن معين: حدّث بأحاديث كذب.

3- وتوبة بن أبي الاَسد العنبري، روي له الشيخان وأبوداود والنسائي.قال الاَزدي: منكَر الحديث.

4- وحسّان بن حسّان وهو حسّان بن أبي عبّاد البصري روي عنه البخاري.قال أبوحاتم: منكَر الحديث.

[صفحه 13]

5- وحميد بن الاَسود البصري، روي له البخاري وأصحاب السُنن.

قال أحمد بن حنبل: ما أنكر ما يجي ء به!

6- وخيثم بن عراك بن مالك الغفاري، روي له البخاري ومسلم والنسائي.

قال الاَزدي: منكَر الحديث.

7- وعبدالرحمن بن شريح بن عبدالله بن محمود المعافري، احتجّ به الجماعة.قال ابن سعد: منكَر الحديث.

8- والمفضّل بن فضالة القتباني المصري، اتّفق الجماعة علي الاحتجاج به.قال ابن سعد: منكَر الحديث.

9- وموسي بن نافع الحنّاط، روي له الشيخان والنسائي وأبوداود.

قال أحمد بن حنبل: منكَر الحديث.

আমাদের গবেষক মহোদয় আক্ষেপ করে লিখেছেন,“আফসোসের বিষয় হচ্ছে এ কথিত অজ্ঞ শিয়াদের সামনে হাদিসের মান আলোচনা করলেও আমরা হয়ে যাই নাকি আহলে বাইতের দোষমন”।
তাঁকে কি দিয়ে সান্ত্বনা দিই, ভাবছিলাম; অমনি কানযুল ঈমানের পাদটীকায় সন্নিবেশিত সদরুল আফাযিল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ নঈম উদ্দীন মুরাদাবাদীর খাযাইনুল ইরফানের একটি বর্ণনা মনে পড়ে গেল। আসুন, সেটা একটু সমনোযোগ পড়ে নিই। “ইমাম তাবরানী, হাকিম,আবূ না‘ঈম এবং বায়হাক্বী প্রমুখ হযরত আলী মুরতাদা (রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু) থেকে হুযূর (সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম)-এর সূত্রে (مرفوعا) বর্ণনা করেছেন যে,যখন হযরত আদম আলায়হিস্ সালাম-এর এ কাজের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করা হলো তখন তিনি তাওবার চিন্তায় অস্থির ছিলেন। দুশ্চিন্তার এ অবস্থায় তাঁর স্মরণ হলো- “সৃষ্টির সন্ধিক্ষণে আমি মাথা উঠিয়ে দেখেছিলাম, আরশের উপর লিখা আছে- لا اله الا الله محمد رسول الله; আমি বুঝতে পারলাম যে, আল্লাহ তা’আলার দরবারে সেই উন্নত মর্যাদা অন্য কারো ভাগ্যে জোটেনি, যা হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামকে প্রদান করা হয়েছে। কেননা, আল্লাহ তা’আলা তাঁর পবিত্র নাম স্বীয় বরকতময় নামের সাথে আরশের উপর লিপিবদ্ধ করেছেন”। অতএব, তিনি (হযরত আদম আলায়হিস্ সালাম) স্বীয় প্রার্থনায় ربنا ظلمنا الآية (রব্বানা যালামনা-আল-আয়াত) পাঠ করে এ প্রার্থনা করেছিলেন- اسئلك بحق محمد ان تغفر لي (অর্থাৎ: হে প্রতিপালক! আমি আপনার নিকট হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামেরই ওসীলায় ক্ষমা প্রার্থনা করছি।) হযরত ইবনে মুনযিরের বর্ণনায় এ বাক্যের উল্লেখ রয়েছে- اللهم إني اسئلك بجاه محمد عبدك وكرامته عليك أن تغفر لي; অর্থাৎ “হে প্রতিপালক! আমি আপনার নিকট আপনারই খাস বান্দা মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর মহা মর্যাদার ওসীলায় এবং তাঁর সম্মানের মাধ্যমে,যা আপনার দরবারে রয়েছে,ক্ষমা প্রার্থনা করছি”। এ প্রার্থনা করা মাত্রই আল্লাহ তা’আলা তাঁকে ক্ষমা করে দিলেন।
মাসআলা: এ বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর দরবারে মাকবূল বান্দাদের ওসীলা বা মাধ্যম সহকারে, যেমন- بجاه فلان، بحق فلان (অমুকের ওসীলায় বা মাধ্যমে) দোয়া-প্রার্থনা করা জায়েয এবং হযরত আদম আলায়হিস্ সালাম-এর সুন্নাত (তরীক্বা)”। কানযুল ঈমান ও খাযাইনুল ইরফান,১৯ পৃষ্ঠা, গুলশান-ই হাবীব ইসলামী কমপ্লেক্স, চট্টগ্রাম।

আপনি/যে কোন সুন্নী আলিম/সাধারণ সুন্নীর সামনে এই হাদীসের মান আলোচনায় কেউ যদি প্রলুব্ধ হয়, তবে জ্ঞানগর্ভ আলোচনার পূর্বে ওই সুন্নীর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কি হবে? অথচ হাদীস শাস্ত্রে অধ্যবসায় আছে এমন কারো কাছে এ হাদীস প্রসঙ্গে আহলে হক্ব মুহাদ্দিসদের অনেকের নেতিবাচক অভিমত অজানা নয়। বর্তমানে এই হাদীসের মান আলোচনার নামে গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ কারা করেন, কেন করেন? বাস্তবে তারা কি আশিক্বে রাসূল, নাকি দুশমনে রাসূল? অনুরূপ আহলে বায়তের ফদ্বীলত সংশ্লিষ্ট কোন হাদীসকে কেউ মান আলোচনার নামে গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইলে মুহিব্বানে আলে রাসূল তথা প্রকৃত সুন্নীরা তাকে দুশমনে আলে বায়ত ভাববে এবং বলবেই; এটি তাঁদের ঈমানী জযবাহ্, মূর্খতা/শিয়াবাদ/ শিয়াপ্রীতি আদৌও নয়।

এই বিষয়ে আলোচনা আর দীর্ঘ করতে চাইনা। শুধু এইটুকু প্রত্যাশা থাকল যে, আমাদের নূতন প্রজন্ম আলবানী ও তদ্মনষ্কদের ফাঁদে পা দেবেন না। সকলের জন্য শুভ কামনা রইল। সালামান।

আরো পড়ুন-

আলীর যিকর ইবাদত (পর্ব-১)

আলীর যিকর ইবাদত (পর্ব-২)

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *