মুর্শিদের সন্ধানে

মুর্শিদের সন্ধানে

🖋️এ টি এম শরফুদ্দীন আল হারূনী

ছোট্ট কাল থেকেই ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির আশায় মাদরাসা শিক্ষা গ্রহণে প্রবল আগ্রহী ছিলাম। একদা এক শুভক্ষণে নিজ এলাকায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শ ভিত্তিক সরকারী মাদরাসায় ভর্তিও হয়ে গেলাম। কিছুদিন যেতে না যেতে অন্য এলাকায় গিয়ে পড়ালেখার মনোভাব হৃদয়ে নাড়া দিতে শুরু করল। সুতরাং আমার এক আত্মীয় উক্ত মাদরাসারই শিক্ষকের মাধ্যমে চট্টগ্রাম হাটহাজারীর অন্তর্গত স্বনামধন্য এক সুন্নিয়া মাদরাসার সন্ধান পেয়ে তাতে ভর্তি হলাম। এ মাদরাসায় নিবিষ্ট মনে চলছে লেখাপড়া। ভর্তির দ্বিতীয় সনের শেষের দিকে মন আবার বিদ্রোহী হয়ে ওঠল। মনের গভীর থেকে কে যেন বলতে লাগল, এথা নয়, এথা নয়, অন্য কোনখানে। তোমার হৃদয়ে লালিত স্বপ্ন পূরণে, আত্মার পবিত্রতা অর্জনে, আত্মার দীক্ষাগুরু সন্ধানে যেতে হবে অন্য কোনখানে। গুরুই পারবেন তোমাকে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির পথ দেখাতে। গুরুই কিমিয়াঘর;  গুরুর রূহানী নজরে করমেই হবে তোমার আত্মা পরিশুদ্ধ।
ইলমে মা’রফতের নেশা পেয়ে বসল। নাওয়া-খাওয়া, লেখা-পড়া কিছুতেই মন বসছেনা। রূহানী দীক্ষা গুরুর চরণে নিজেকে সপে দেওয়ার আকুলতায় ব্যাকুল হয়ে ওঠল হৃদয়। কিন্তু পাবো কোথায় গুরুর নাগাল? শুরু করলাম, বিভিন্ন অঞ্চলের পীর মশায়িখদের খোঁজ খবর নিতে।         
এমতাবস্থায় একদা এশার নামায শেষে মজমুয়ায়ে ওজায়েফ তিলাওয়াত করে ঘুমিয়ে পড়লাম। ওই রাতে স্বপ্নে দেখলাম, শাহ্ছাহেব হুযূর কেবলা খ্যাত হারুয়ালছড়ি গাউছিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আমাকে বলছেন, তোমার মনের আশা আকাঙ্খা পূরণের লক্ষ্যে আমার প্রতিষ্ঠিত মাদরাসায় এসে ভর্তি হও। আমি তোমাকে সর্বাত্মক সাহায্য করব।
স্বপ্ন বৃত্তান্ত বন্ধু-বান্ধবের কয়েকজনের সাথে আলোচনা করতে গিয়ে জানতে পারলাম, তিনি সকলের কাছে শাহছাহেব হুযূর কেবলা নামে পরিচিত। স্বনামধন্য আলেম-ওলামারা তাঁকে চিনেন, জানেন এবং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এতে আমার আস্থা আরো দৃঢ় হল। হাটহাজারীস্থ মাদরাসায় শারীরিক ভাবে অবস্থান করলেও মন পড়ে রইল ফটিকছড়ির অজপাড়া গাঁ হারুয়ালছড়িতে।
ভেবে চিন্তে গাউছিয়া রহমানিয়া ছুন্নিয়া মাদরাসায় অধ্যয়নে মনস্থির করলাম। কিছুদিন পর ওই মাদরাসার এক শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভর্তি বিষয়ে জানতে চাইলাম। তিনি আমার মতামত জেনে অত্যন্ত খুশি হলেন এবং ছুটি শেষে যাওয়ার সময় আমাকে নিয়ে যাবেন বলে জানালেন।
অবশেষে সে মাহেন্দ্রক্ষণ এল। ১৯৮২ সনের শেষের দিকে উক্ত শিক্ষকের সাথে যাত্রা দিলাম হারুয়ালছড়ির উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে বাবাজানের কামালিয়ত ও কারামত সম্পর্কে তার মুখে অনেক কিছু শুনতে পেলাম। যতই শুনছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। যুগিনীঘাট হয়ে হালদা নদী পেরিয়ে হারুয়ালছড়িতে পৌঁছার আগেই সন্ধ্যা নেমে এল। আকাশে চাঁদ-তারার মেলা। ঝিলমিল আলোতে গুটি গুটি পায় নদীর পাড় ঘেঁষে মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা হাদীয়ে যমান রাহনুমায়ে শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত হুযূরের বসত বাড়িতে পৌঁছলাম। হুজরা শরীফের সম্মুখস্থ ছোট্ট দায়রা ঘরের এক কোণায় আমার সঙ্গে আনা জিনিষ পত্র রেখে ক্লান্ত শরীরে দু’জনই বসে পড়লাম। বাবাজান হুজরা শরীফ থেকে জানতে চাইলেন, দায়রা ঘরে কি কেউ আছ? সঙ্গী শিক্ষক বললেন, বাবাজান! আমরা দু’জন আছি। ফের জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা এসেছ কতক্ষণ হল না এখনই এসেছ? ওই শিক্ষক বললেন, কিছুক্ষণ হলো আমরা এসেছি। বাবাজান : দায়রা ঘরে চেরাগ (বাতি) আছে, না অন্ধকারে আছ? শিক্ষক: বাতি আছে, আমরা জ্বালিয়ে বসেছি। বাবাজান: তোমরা দায়রায় একটু বস।
আমরা বসে বসে আলাপ করছিলাম, কিছু খেতে পারলে ভাল হত। আশ-পার্শ্বে দোকান-পাট কিছুইতো নেই। খিদেয় বড়  অস্থির লাগছে। কোন দুপুরে খেয়েছি আর এখন এশার আযান হচ্ছে। ঠিক এমনি সময় বাবাজান আমাদের ডাক দিলেন, তোমরা ঘরে এসো। দরজায় এসে দেখলাম, মুলি বাঁশের বেড়ার দরজা, হাতে ঠেলে খুলতে হয়। দেখেই আমার কিশোর মনে প্রশ্ন জাগে, যিনি স্বপ্নে আমাকে তাঁর মাদরাসায় পড়তে নির্দেশ করতে পারেন, তাঁর এ গরীবি হাল কেন? আসলে তাঁর মধ্যে কামালিয়ত আছে নাকি আদব-লেহাজের কারণেই সবাই শাহছাহেব হুযূর ডাকেন। এ সব ভাবতে ভাবতে ঘরে প্রবেশ করে দেখি, বাবাজান খাটে হেলান দিয়ে পূর্বদিকে তাকিয়ে আছেন। হঠাৎ আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমরা দাঁড়িয়ে আছ কেন? বস। তোমাদের খিদে লেগেছে, চা নাস্তা খেয়ে নাও, পরে কথা বলবো।
চা নাস্তা দেখেই মন আনন্দে ভরে গেল। আবেগ আপ্লুত হয়ে যাই। মেহমান নাওয়াজি সুন্নতে রাসূল (দ.)। যার আখলাকে সুন্নতে রাসূল পরিস্ফুটিত, তাঁর নিকট ইলমে মা’রফত বা আল্লাহর রহস্যালোকের আশা করা যায়। চা খেতে খেতে হুজরা শরীফের চারদিকে দৃষ্টি বোলাতে লাগলাম। দেখলাম ছনের ছাউনি ছোট্ট একটি কুঁড়ে ঘর। মনে মনে ভাবছি এ কেমন আল্লাহ ওয়ালা, যিনি কুঁড়ে ঘরে থাকেন। এত সাদামাটা জীবন যাপন কীভাবে এবং কেন করেন। তখন কিন্তু মেহমান নাওয়াজি সুন্নতে রাসূল (দ.) হওয়ার বিষয় আমার জানা থাকলেও ‘দারিদ্র্য আমার গর্ব’ মর্মীয় হাদীসে রাসূল (দ.) ছিল সম্পূর্ণ অজানা। এভাবে কিছু সময় বয়ে গেল। বাবাজান খাটের উপরিভাগে হেলান দিয়ে চক্ষু মোবারক মুদিয়ে আছেন। আমি মনে করলাম, হুযূর হয়তো ঘুমিয়ে গিয়েছেন। আবার ভাবলাম; এখনো রাত নয়টা বাজেনি, এত সকালে শিশুরাও তো ঘুমায়না। তিনি ঘুমাবেন কী করে। আমার কিশোর মন আপন ভাবনায় মশগুল। নানা কিছু ভাবতে ভাবতে অন্য মনস্ক হয়ে পড়ি। হঠাৎ তাঁকে হেলান থেকে ওঠে বসতে দেখে তাঁর দিকে তাকাই। তাঁর দু’চোখে রক্তিম আভা। ত্বরীকত পাঠশালায় তখনতো ভর্তিও হইনি, রীতি-নীতি বুঝি কী করে? তবুও কিঞ্চিত অনুভব হল, তিনি জযব হালে আমাদের দিকে তাকাচ্ছেন। তাঁর দৃষ্টিপাত মাত্রই আমার ক্বলবে এক ধরণের স্পন্দন শুরু হল।  মনে হলো, আমি এতক্ষণ যা ভেবেছি, সবই তিনি জেনে গিয়েছেন। জানুক আর না জানুক, সামনে কি হয় তা দেখতেই আমি প্রস্তুত।
এবার বাবাজান আমার নাম, বাড়ি, কোন শ্রেণীতে পড়ি, স্কুলে না পড়ে মাদরাসায় কেন পড়ি, দেশ-গ্রামে না পড়ে চট্টগ্রামে কেন পড়তে এলাম, নামডাক ওয়ালা প্রতিষ্ঠানে না পড়ে হুযূরের জীর্ণশীর্ণ মাদরাসায় কেন পড়তে এলাম ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করলেন। আমি দুরু দুরু বুকে সব উত্তর দিলাম। সর্বশেষ প্রশ্নের উত্তরে বাবাজানের নিকট আসার পনের দিন পূর্বে রবিবার দিবাগত রাতে দেখা পূর্বোক্ত স্বপ্নের কথা জানাই। বাবাজান পুনর্বার খাটে হেলান দিয়ে নয়ন মুদিয়ে কিছুক্ষণ নীরব রইলেন। আবার ওঠে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, হে বেটা! আমার সাহায্যের বিষয়ে তোমার স্বপ্নের  যে বর্ণনা দিলে, সে সাহায্য শুধু তোমাকে নয় আল্লাহর সন্ধানে আগ্রহী জ্বিন-ইনসান সকলকে দেওয়ার ক্ষমতা-যোগ্যতা আল্লাহ ও রাসূলের পক্ষ থেকে আমার পীর মুর্শিদের মাধ্যমে আমি লাভ করেছি। সুতরাং সকলকে সাহায্য করতে আমি প্রস্তুত। মানুষতো আল্লাহর বদলে পার্থিব ভোগ-বিলাস ও আরাম-আয়েশের নেশায় মত্ত। আমার নিকট এসে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের দীক্ষা প্রার্থনা করলেও কিছুদিন যেতে না যেতে দারিদ্র্যের ঘনঘটা দেখে দুনিয়াবী ধন-দৌলত লাভের দু’য়া চায়। অতএব প্রেম পরীক্ষায় তারা ঠিকতে পারেনা; আমার সংস্পর্শেও থাকতে সক্ষম হয়না। হীন মনোবল হওয়ার কারণে ঝরে পড়ে। দুনিয়া আর খোদা দু’টা একত্রে লাভ অসম্ভব। একটি মাত্র মনে দু’জনের প্রেম একত্রে থাকতে পারেনা। দুনিয়া লাভের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য-কারবার ইত্যাদি করবে, এই-তো যথেষ্ট। আল্লাহকে যারা পেতে চায় তারাতো দুনিয়ার মোহমায়া শুধু নয়; আখিরাতের স্বর্গসুখের অভিলাষও পরিত্যাগ করতে হবে। আল্লাহর ইশক-দরদ নিয়ে  আল্লাহর সন্তুষ্টি  বিধানে সদা সচেষ্ট থাকতে হবে।
অতঃপর আমাদের বললেন, আল্লাহ ও রাসূলের সন্তুষ্টি দীদার কীভাবে অর্জিত হয়? তোমরা তা কি জান? আমরা উভয় নীরব। অতঃপর বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের রেযামন্দি হাসিল করতে করণীয় কাজগুলো হল-
১। পীরে কামিলে মুকাম্মিলের পথ ও মতের উপর ঈমান আকিদা ঠিক রেখে আমল করতে হবে।
২। খাহেশাতে নফছানিয়তের সকল প্ররোচনা থেকে নিজকে সর্বদা মুক্ত রাখতে হবে।
৩। দুনিয়াবী ভোগ বিলাস ত্যাগ করতে হবে। কম কথা, কম ঘুমানো, ও কম আহার করে অল্পে তুষ্ট থাকতে হবে, আল্লাহর রহস্য উৎঘাটনের জন্য ঘুমে জাগরণে সদা সতর্ক ও সচেষ্ট থাকতে হবে।
৫। পরমুখাপেক্ষিতা ত্যাগ করতে হবে। সর্বদা আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে।
৬। বিপদে ধৈর্যহারা হতে পারবেনা। ছবর করবে। এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা বিপদে সন্তুষ্ট থাকবে। 
৭। তাছাউফের কিতাব আউলিয়া কেরামগণের জীবনী পাঠ এবং তাঁদের মতাদর্শ ভিত্তিক জীবন যাপন করবে।
৮। লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ থেকে নিজকে দূরে রাখতে হবে। 
৯। আল্লাহ যখন যে অবস্থায় রাখেন সে অবস্থার উপর সন্তুষ্ট থাকবে । বাবাজান এক পর্যায়ে আপন ঘরের চাল দেখালেন। দেখ আমার ঘরের অবস্থা। উপরের দিকে তাকালে আকাশ দেখা যাবে। আমি উপরের দিকে তাকিয়ে দেখলাম আকাশ দেখা যাচ্ছে, এমনকি চাঁদের আলোও দেখতে পেলাম। এরপর বাবাজান বললেন আমার ঘরে বসে আকাশ দেখা গেলেও এতে আমার কোন আপত্তি নেই। আমি আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট এবং আমি চাই যে, আল্লাহও আমার উপর সন্তুষ্ট থাকুন। এইরূপ অবস্থা তোমাদের উপর আসলে তোমরা ধৈর্যের সঙ্গে আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থাকতে চেষ্টা করবে।
১০। তোমরা যদি আল্লাহর দিদার লাভ করতে চাও তাহলে অধিক পরিশ্রমের মাধ্যমে রেয়াজত মোশাহেদা করতে হবে। রেয়াজত মোশাহেদার মাধ্যমে আল্লাহর দিদার লাভে আল্লাহর রহস্যের চাদর উম্মোচন হওয়ার পর তোমাদের কলবের চোখে (হৃদয়ে) কিছু দেখা দেখি আরম্ভ হলে এবং দেখলে তা অবশ্যই গোপন রাখবে। কেননা তোমরা যদি আল্লাহর রহস্য গোপন রাখতে না পার তাহলে উরূজ (রূহানি উন্নতি)  করে এলমে মারফতের এক দরজা (স্তর) থেকে অন্য দরজায় (স্তরে) যাওয়া সম্ভব হবে না। যেহেতু মা’শুক বা প্রেমাস্পদের রহস্য পরের নিকট প্রকাশ মাহবূবের অসন্তুষ্টির কারণ। সুতরাং আল্লাহর দর্শন লাভেও ব্যর্থ হবে।
পরিশেষে কালাম করলেন, অনেক আশা ভরসা নিয়ে আমার নিকট এসেছ , দেখ গাউছুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী এবং আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল কি করেন। ত্বরীকতের দীক্ষা নেওয়ার আগে শরীয়তের জ্ঞানার্জন অপরিহার্য। তুমি ছোট মানুষ। সর্বপ্রথম তোমাকে যে কাজটি করতে হবে, সেটা হলো জাহেরী শরীয়তের ইলম হাসিল করা। কুরআন, হাদীস, ইজমা, ক্বিয়াস, ফিকহ, তফসীর, তাসাওউফ ইত্যাদি অধ্যয়ন করতে হবে। অতঃপর আল্লাহর মেহেরবানী হলে মুর্শিদে কামিলের নজরে করমের বদৌলতে একদিন অভিষ্ট তথা আল্লাহর পরিচয় লাভে সমর্থ হবে। এখন ভালভাবে লেখাপড়ায় মন দাও; অন্যান্য বিষয় পরে দেখা যাবে। এবার খানা খেয়ে দায়রায় গিয়ে ঘুমাও। অতঃপর হুজরা শরীফে বাবাজানের সাথে রাতের আহার সেরে দায়রা ঘরে এসে ঘুমালাম।
আমার মুর্শিদের সংস্পর্শে একটানা প্রায় ২০ বছর থাকাকালে দেখেছি বাবাজান আপন নীতির উপর সদা অটল। শরীয়ত ত্বরীকত বিষয়ে চুল বরাবর ছাড়ও কাউকে দেননি। খোদা পরিচয় প্রত্যয়ে তাঁর খিদমতে এসে সফল হতে যেমন দেখেছি তেমনি সংকল্পের বিপরীত দুনিয়া প্রত্যাশা করে বিতাড়িত হতেও দেখেছি। এমনকি আমার প্রথম সাক্ষাতের সঙ্গী সেই শিক্ষকও বিতাড়িত হয়েছে। ত্বরিক্বতের ক্ষেত্রে দীক্ষাগুরুর দ্বার হতে বিতাড়িতজন সব দ্বার হতে বিতাড়িত হওয়ার বাস্তব নমুনা সে শিক্ষক। অবশেষে সে গোমরাহীর অতল তলে তলিয়ে গিয়েছে।
পরিশেষে মুর্শিদের চরণ সেবায় আমি ও ত্বরিক্বতের ভাইদের দৃঢ়পদ রাখার আর্তি জানিয়ে নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধের ইতি টানলাম। আল্লাহ্! তাঁর রাসূল ও প্রিয়জনদের ওসিলায় কবূল করুন। আমীন।
লিখক:
সাবেক শিক্ষক
গাউসিয়া রহমানিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা
হারুয়ালছড়ি, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম।
ও 
নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও কাজী
দাগনভূঞা পৌরসভা,
দাগনভূঞা, ফেনী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *