আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরি যারে
(স্মরণ রাখিও আমি তোমায় ভালোবাসি)
🖋️ বোরহান উদ্দিন মুহাম্মদ শফিউল বশর
অদ্য রোদ মেঘ বৃষ্টিময় দিনের গোধূলিতে আসন্ন সন্ধ্যা ২৭ জিলহজ ১৪৪২ হিজরীর সূচনা। এ দিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে মহান মুহসিনকে, যার ইহসানের ভারে নত সুন্নিদের গর্দান। যার সত্তাকে কেন্দ্র করে গাউসুল আ’যম শাহানশাহে মাইজভাণ্ডার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বাণী, আমার ছয়টি কিতাবের একটি আমার আমীন মিয়াকে দিয়েছি।
ইমামে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত আল্লামা সৈয়্যদ আযীযুল হক্ব্ শেরে বাংলা রহমতুল্লাহি আলাইহি এর ভাষায়, তিনি সুন্নীদের জন্য নি’মতে উযমা, কিবরিতে আহমার ও রুকনে আ’যম।
যাদের নামে গাযীয়ে মিল্লাতের মুখে একটি স্তুতি বাক্যও উচ্চারিত হয়নি, তাঁদের কারো কারো শানে তাঁর নামে রাতারাতি জ্যান্ত প্রশংসাগীতি রচিত হওয়ার মতো পুকুর চুরির ঘটনা যেমন রয়েছে; তেমনি তাঁর রচনায় সিঁদেল চুরীয় চাতুর্য্যে শব্দের অনুপ্রবেশও। মাওলানাদের কন্ঠে বড় গলায় তা গীতও হয়! কথায় বলে, চোরের মার বড় গলা। পরন্তু যত অনীহা আর কার্পণ্য প্রকৃত সে প্রশংসাগীতির ব্যাপারে। কথায় আছে, উপকারে লাঠির গুঁতো। যাক, মন খারাপের কাজ নেই, তাদের সেই লাঠি ততো লম্বা নয় যে, ফরহাদাবাদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর মহান শানের নাগাল পাবে। কারো প্রশংসা কিংবা কারো নিন্দায় তাঁর কিছু আসে যায়না। অধিকন্তু অকৃতজ্ঞতায় নিজেদেরই ক্ষতি।
হাদীসে পাকের বর্ণনায় এসেছে,
من لم يشكر الناس لم يشكر الله
“যে মানুষের কৃতজ্ঞতা করলনা, সেই আল্লাহরই কৃতজ্ঞতা করলনা।”
কুরআনে পাকে ইরশাদ হচ্ছে,
لئن شكرتم لأزيدنكم ولئن كفرتم إن عذابي الشديد
“যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা কর, অতি অবশ্যই আমি আরো বাড়িয়ে দেব; আর যদি অকৃতজ্ঞতা কর, তবে আমার শাস্তি অতি কঠিন।”
১৩৬৩ হিজরীর এ দিনে আল্লাহর মিলনধামে প্রত্যাবর্তন করেন,গাউসে যমান মুহসিনে আ’যম আল্লামাহ সৈয়্যদ আমীনুল হক্ব ফরহাদাবাদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু। আজ সে মহান ২৭ জিলহজ তাঁর চান্দ্র বার্ষিক বিছাল দিবসে তাঁর তাওওয়াস্সুলে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা,
الٰہی ہمکو دے پناہ امانت میں ہی آپنی
شاہ امین حق و دیں آیت خدا کے واسطے –
نو بہار گلشن محمدی بحر مواج علوم احمدی،
سید آمین فرہادآبادی دلربا کے واسطے –
তাঁর চরণে খলীফায়ে গা’উসুল আ’যম আল্লামাহ বজলুল করীম মন্দাকিনী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ভাষায় নিবেদন,
‘এ দীন করীম হীন, অনুগত অনুদিন,
স্মরণ রাখিও বাবা আমি তোমায় ভালোবাসি’