সাজদাতুত্ তাহিয়্যাহ ও উলামায়ে আহলে সুন্নাতের অবস্থান

সাজদাতুত্ তাহিয়্যাহ ও উলামায়ে আহলে সুন্নাতের অবস্থান

(মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, তবে অসীমের পানের পন্থ অনন্ত)


🖊️ আল্লামা বোরহান উদ্দিন মুহাম্মদ শফিউল বশর

পর্যুক্ত মাসয়ালার ক্ষেত্রে মতানৈক্যের বিষয়ে সকলেই একমত। একটি পক্ষ হুরমত বা নিষিদ্ধের অপর পক্ষ ইবাহত বা বৈধতার প্রবক্তা। এ নিয়ে লেখালেখি থেকে শুরু করে মুনাযারাহ্ -মুবাহাসাহ ঢের হয়েছে।
অবৈধ ও বৈধতার ফতওয়া কখন কীরূপে ধর্তব্য , তার নিরাপদ ও সুন্দর সামাধান দিয়েছেন, ফাদ্বিলে ফরহাদাবাদী তাঁর “আত্তাওজীহাতুল বাহিয়্যাহ ফী তারদীদে মা ফীত্তানক্বীহাতিস্সুন্যিয়্যাহ” গ্রন্থে।
আমরা সকলেই কমবেশি জানি যে, ইমামে আহলে সুন্নাত হিন্দ ফাদ্বিলে বেরেলভী সাজিদায়ে তাহিয়্যাহ হারাম সাব্যস্ত করণের জন্য “আয্যুব্দাতুয্যাকিয়্যাহ লিতাহরীমি সুজূদিত্তাহিয়্যাহ” নামক একটি পুস্তকও রচনা করেছেন। ইমামে আহলে সুন্নাত মাশরিক্বী পাকিস্তান শেরেবাংলা হুযূরের অবস্থানও হুরমতের পক্ষে ছিল বলে জানা যায়।
অধিকন্তু এ দুইজন আকাবির ইমামে আহলে সুন্নাত সর্বসাধারণের জন্য সিজদা হারামের প্রবক্তা হলেও আহলে ত্বরীক্বতগণের মধ্যে প্রচলিত সিজদায়ে তাহিয়্যাহ’র ক্ষেত্রে ভিন্ন মত পোষণ করতেন। আহকামে শরীয়ত ও দীওয়ানে আযীযের বিবৃতিতে তা সুস্পষ্ট।
ফাদ্বিলে বেরেলভী তাঁর আহকামে শরীয়ত তৃতীয় খণ্ডের চতুর্থ মাসয়ালার উত্তরে লিখেছেন,
بلاشبہ غیر کعبہ معظمہ کا طواف تعظیمی ناجائز ہے اور غیر خدا کو سجدہ ہماری شریعت میں حرام ہے اور بوسۂ قبر میں علماء کو اختلاف ہے اور احوط منع ہے،خصوصا مزارات طیبۂ اولیاۓ کرام کہ ہمارے علماء نے تصریح فرمائی کہ کم از کم چار ہاتھ فاصلہ سے کہڑا ہو کہ یہی آدب ہے، پہر تقبیل کیونکر متصور ہے، یہ وہ ہے جس کا فتویٰ عوام کو دیا جاتا ہے اور تحقیق کا مقام دوسرا ہے:
لكل مقام مقال و لكل مقال رجال ولكل رجال مجال و لكل مجال منال نسأل الله حسن المأل و عنده العلم بحقيقة كل حال والله تعالىٰ اعلم –
অর্থাৎ “নিঃসন্দেহে সম্মানিত কা’বাহ ভিন্নের সম্মাননা প্রদক্ষিণ নাজায়েয আর আল্লাহ ভিন্নের সিজদা আমাদের শরীয়তে হারাম আর ক্ববর চুম্বনের ব্যাপারে আলিমদের মতানৈক্য রয়েছে আর অধিক সতর্কতা হল বারণ। আওলিয়ায়ে কিরামের পবিত্র মাযারসমূহের শিষ্টাচার সম্পর্কে আমাদের উলামায়ে কিরামের ব্যাখ্যা হল, ন্যূনতম চার হাত দূরত্বে দাঁড়ানো; ফের চুম্বন কীভাবে কল্পনা করা যেতে পারে!
এটি ওই বিষয়, যার ফতওয়া সাধারণদের দেওয়া হয়, অন্যথায় মূলতত্ত্ব অনুসন্ধানের ব্যাপার ভিন্ন। প্রত্যেক অবস্থানক্ষেত্রের জন্য কথা, প্রত্যেক কথার জন্য ব্যক্তি, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য (বুদ্ধির) বিস্তৃতি আর প্রত্যেক বিস্তৃতির গম্যস্থান রয়েছে। আল্লাহর দরবারে শুভ পরিণতি প্রার্থনা করছি, তাঁর নিকটই প্রত্যেক অবস্থার প্রকৃত জ্ঞান আর আল্লাহ তা’আলাই সর্বাধিক জ্ঞানী।”
ফাযিলে বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহির উক্ত ফতওয়া দৃষ্টে মোল্লার দৌড়ের বাইরেও তত্ত্বের জগত সু-বিস্তীর্ণ বুঝা যায়। তিনি অ-সাঁতারু সর্বসাধারণকে অকূল সাগরে ভাসিয়ে দিতে যেমন চাননি, তেমনি বীর ডুবুরিদের মণিমুক্তা আহরণেও বাধা সাধেননি।
তিনি স্বয়ং আপন বিশেষ অবস্থার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হাদায়িক্বে বাখশিশে লিখেছেন,

سر سوۓ روضہ جھکا پھر تجھکو کیا
دل تھا ساجد نجدیا پھر تجھکو کیا ؟
بے خودی میں سجدے در یا طواف
جو کیا اچھا کیا پھر تجھکو کیا ؟

“রওযার পানে ঝুকল মাথা, তাতে ফের তোর কি?
হৃদয় ছিল সিজদাকারী, ফের হে নজদী তোর কি?
হারিয়ে নিজে সেই দ্বারে সিজদা বা তাওয়াফ;
যা করেছে বেশ করেছে, ফের তাতে তোর কি?”

কোন পাষাণ হিয়া أَوْ أَشَدُّ قَسْوَةً অথবা “তদপেক্ষাও কঠিন” হলে কার কি করার আছে?
শেরে বাংলা রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর দীওয়ানে আযীয গ্রন্থে লিখেছেন,

حکم سجدۂ تحیہ ہم بداں، اختلاف عالماں بس اندر آں،
بعض میگویند آں بیشک روا، از براۓ مرشدان باصفا،
در کلالی ہم بتسیر ست ایں، ملتقط را نیز لمعات را ببیں،
لیک گوینداکثر آں آمد حرام،از فقیہ بوجعفر آمد ایں کلام
درظہیریہ ومبسوط ونصاب،کن نظر باشی زمطلب بہرہ یاب
ایں زماں چوں پر شدہ از فتنہا،فتواۓحلت عموماً شد خطا،

অর্থাৎ “ সিজদায়ে তাহিয়্যাহ বা অভিবাদন প্রণতির বিধানও জেনে নাও,ওটাতে আলিমদের বেশ মতানৈক্য রয়েছে।
কতেক বলেছেন, পূতাত্মা মুর্শিদের জন্য ওটা সন্দেহাতীত জায়েয; কালালী ও তায়সীরেও আছে এটা, মুলতাক্বাত ও লুম’আতও দেখো।
পরন্তু অধিকাংশ বলেন, ওটি হারাম; ফক্বীহ আবূ জা’ফর থেকে এ উক্তি বর্ণিত।
যহীরিয়্যাহ, মাবসূত ও নিসাবে দৃষ্টি করো, তবে উদ্দিষ্ট প্রাপ্ত হবে।
এ যুগ যেহেতু নানা ফিতনায় পূর্ণ হয়েছে, সেহেতু সাধারণভাবে ( ঢালাওভাবে) বৈধতার ফতওয়া প্রদান ভুল হবে।”
হযরত গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারীর বাগানের সৌম্য সৌরভে ভরা পুষ্প বাবাজান ক্বিবলাকে নিবেদিত প্রশংসা গীতে স্বয়ং গাযীয়ে মিল্লাত লিখেছেন,

بوۓ آں گل کردہ شیدا سائر اہل جہاں،
گشت مئجبہنڈار از آنجا سجدگاہ عاشقاں –

“ওই পুষ্পের সুগন্ধে জগৎবাসী সকলে করেছে মত্ত; মাইজভাণ্ডার শরীফ ওই স্থানসমূহের একটিতে পরিণত হল, যা আশিকদের সিজদাস্থল।”
ঘৃণা-অহঙ্কারের নাসামলে কারো ঘ্রাণেন্দ্রিয় বিনষ্ট হলে কার কি করার আছে?
🔸অনুরূপ ইমামে আহলে সুন্নাত বাংলাদেশ আল্লামা হাশেমীও সর্বসাধারণের জন্য হারামের প্রবক্তা হওয়া সত্ত্বেও মাইজভাণ্ডারীদের পক্ষে বরিশালে মুনাযারায় যাওয়ার নজির রয়েছে।
🔸জামেয়ার বর্তমান অধ্যক্ষ আল্লামা ওছীয়র রহমান হুজুরের মাসিক তারজুমানে প্রদত্ত বিভিন্ন সময়ের ফতওয়াতেও বিষয়টি স্পষ্ট।
🔸সমকালীন শীর্ষ স্থানীয় সুন্নী উলামায়ে কিরামও অবস্থান ও অবস্থার পার্থক্য বিবেচনায় সমন্বয়ধর্মী মতামত দিয়ে থাকেন।
🔸অধিকন্তু নব্য মহারথী ফাযিলে বেরেলভী আলাইহির রহমাহ’র মসলকের দোহাইতে, সুন্নীয়্যাতের নামে, কোন হীন স্বার্থে, কোন অদৃশ্য হাতের ইঙ্গিতে কাদের এজেন্ডার বাস্তবায়নে আওলিয়ায়ে কিরামের দরবারসমূহে প্রচলিত এ বিষয়ে এমন কুৎসিত কুরুচিপূর্ণ লাগামহীন কথা বার্তায় কাদের খুশি করতে চাচ্ছেন; পীর আউলিয়া ভক্ত সুন্নী মুসলমান পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
মহারথী বচন: “যে আল্লাহ ভিন্ন কাউকে সিজদা করল, সেই যেন বদমাইশীর গুনাহ করল।” সর্বসাধারণের পরিভাষায় বিশেষায়িত সজিদা তথা ভূমিতে কপাল স্থাপন; ইবাদতের সজিদাকে যেমন অন্তর্ভুক্ত করে, তেমনি অভিবাদন প্রণতিকেও। তার ঐহেন উক্তিতে সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নাওয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ওপরও বিশ্রীকর বাজে অপবাদ আরোপ হয় বৈকি! স্বয়ং খাজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আপন বায়’আত গ্রহণের বর্ণনায় বলেছেন,
صحبت میں بڑے بڑے معظم و محترم مشائخ کبار جمع تھے،میں ادب سے حاضر ہوا اور روۓ نیاز زمین پر رکھدیا –
“সাহচর্যে বড় বড় মর্যাদাবান ও সম্মানিত শীর্ষস্থানীয় মাশায়াখ সমাবেশিত ছিলেন। আমি আদবসহ উপস্থিত হয়ে আবেদনানন ভূমিতে রেখে দিলাম”। সূত্র: সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নাওয়ায আলাইহির রহমাহ, ডক্টর মাওলানা মুহাম্মদ আছিম আ’যমী, পৃষ্ঠা:৮৩, ফারূক্বীয়্যাহ বুক ডিপো, দিল্লি।

শেরে বাংলা হুজুরের সুপরামর্শের ভিত্তিতে সজিদায়ে তাহিয়্যাহ’র প্রবক্তা ও কর্তা হওয়া সত্ত্বেও সর্বসাধারণের মজলিসে আমরা তা আলোচনা করিনা; এর অর্থ এই নয় যে, আমাদের বলার কিছু নেই! এর মানে এই নয় যে, যে কেউ আওলীয়ায়ে কিরামের শানে যেমন খুশি তেমন আক্রমণ করবে আর আমরা নীরবে সয়ে যাবো!
আওলিয়ায়ে কিরাম বিদ্বেষী যে কোন ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় আমরা অপ্রস্তুত কখনো ছিলাম না, এখনো আপ্রস্তুত নই।
হঠাৎ করে কারো যবান দরাজীতে বিজ্ঞজন কর্তৃক শায়খ সা’দীর উপদেশ বাণী “মানুষ নিরাশ হলে তার যবান দরাজ হয়ে যায়; ঠিক পরাভূত বিড়াল যেমন কুকুর পানে থাবা বাড়ায়” স্মরণ করিয়ে দেওয়ায় এবং স্বঘোষিত আ’লামুন্নাস’র এক উস্তাদ কর্তৃক ভাইরাল ফিভারের ভাইরাসে আক্রান্ত অভিহিত হওয়ায়, আমরা অপেক্ষা করছি আসলে ঘোরের প্রলাপ, নাকি অন্য কিছু যাচাইয়ের জন্য, সর্বোপরি প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর বাণী,
التأني من الله و العجلة من الشيطان
“ধীরস্থিরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া শয়তানের”তো হৃদয়ে রয়েছেই।
অপেক্ষা যেই মহাশয়ের জন্য মরণ যন্ত্রণাধিক, তাঁর খেদমতে সবিনয় অনুরোধ, আলোচিত বিষয়ে এ পর্যন্ত যা কিছু লিখেছেন এবং বলেছেন, তা বারংবার স্টাডি করুন, যাতে মাহশরের মহাসমাবেশে আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর সামনে আল্লাহ ও রাসূলের প্রিয়জনদের তুহমত প্রদানের জবাব দানে সক্ষম হতে পারেন!
এখানে হযরত ইবনে উমর যে কারণে খারিজীদের নিকৃষ্টতর সৃষ্টি জ্ঞান করতেন, তার উল্লেখ সঙ্গত মনে করি,

و كان ابن عمر رضي الله عنهما يراهم شرار خلق الله، وقال انهم انطلقوا الى آيات نزلت في الكفار فجعلوها على المؤمنين –

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা তাদের আল্লাহর নিকৃষ্ট সৃষ্টি মনে করতেন; কেননা তারা কাফিরদের ব্যাপারে অবতীর্ণ আয়াতসমূহ নিয়ে মু’মিনদের ওপর আরোপ করতে শুরু করেছিল।
ঠিক একই কায়দায় উসূলে হাদীসের নীতি মতে ইরসাল যেখানে স্বয়ং দুর্বলতা , সেখানে সাহাবীর মায়ফূ’ বর্ণনার বিপরীত একজন তাবি’ঈর মুরসাল বর্ণনা, যা অনেক তাফসীরের কিতাবে না থাকলেও জালালাইনসহ সুয়ূতীর লুবাবুন্নুক্বূল ফী আসবাবিন্নুযূল এবং আবূল হাসান আলী বিন আহমদ আলওয়াহিদীর কিতাবু আসবাবিন্নুযূলে দুই ও তিন নাম্বারে থাকলেও সেই মারজূহ্ বর্ণনাকে এক নাম্বারে নিয়ে এসে জোরালো ও স্পষ্ট দুই দুইটি শর্ত উপেক্ষা করে তিন নাম্বারের শর্তের ওপর ভিত্তি করে মুসলমানদের ওপর চাপিয়ে দেয়া সেই অশনি সংকেত নয়তো কি
তাতেও সবজান্তা মহাশয়ের মন ভরল না, অবশেষে রূপকথার গল্পের আশ্রয়ে আল্লাহর মাহবূবীনকে প্রতিমা আর তাঁদের তা’যীমকে পূজার সাথে তুল্য করে উপস্থাপনও করলেন!
কুরআন দিয়ে হারাম, হাদীসে মুতাওয়াতির দিয়ে হারাম, আস্ফালনোত্তর মহাশয় স্মরণাপন্ন হলেন, اساطير العربية قبل الاسلام বা ইসলামপূর্ব আরব্য রূপকথামালার। ভাগ্যের পরিহাস যে, তাতেও তার দাবীর পক্ষে কোন দলীল নেই। সেখানে “লাতের ইবাদতের এবং তার ওপর প্রাসাদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে” উল্লেখ আছে। নেট থেকে সংগৃহীত ইবারত নিম্নে প্রদত্ত হলো; সমনোযোগ দেখে নিন।
وفي رأي آخر اللات اسم صنم كانت تعبده ثقيف وتعطف عليه العزّى, فورد أنها صخرة كان يجلس عليها رجل كان يبيع السمن واللبن للحُجّاج في الزمن الأول, وقيل إن اللاّتّ كان يَلتّ له السويقَ للحجّ على صخرة معروفة تسمى صخرة اللاتّ، وكان اللاتّ رجلاً من ثقيف، فلما مات قال لهم عمرو بن لحيّ: لم يمت ولكن دخل في الصخرة، ثم أمرهم بعبادتها وأن يبنوا عليها بنياناً يسمّى اللات, وقيل: كانت صخرة بيضاء مربعة بَنت عليها ثقيف بنية.

রূপকথা থেকে যারা আজ সাজদায়ে তাহিয়্যাহ’র বিরুদ্ধে ফতোয়া দিচ্ছে, (যদিও সাজদায়ে তাহিয়্যার সাথে দূরতম সম্পর্কিত কোন কথাও তাতে নেই) কাল তারা অবশ্যই ওলীয়ুল্লাহর মাযার নির্মাণের বিরুদ্ধেও ফতোয়া দিবে; যেহেতু তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, وأن يبنوا عليها بنياناً “এবং তার ওপর ভবন নির্মাণ করতে”। সুতরাং দোহার সাবধান!
পরিশেষে বলবো, إذا جاء القدر عمى البصر

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *