মাওলা-ই কায়িনাত রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু

মাওলা আলী রাঃ

মাওলা-ই কায়িনাত রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু

(প্রথম পর্ব)
✒ আল্লামা বোরহান উদ্দীন মুহাম্মদ শফিউল বশর
আজ মনটা বড়ই দুঃখভারাক্রান্ত। হযরত ইমাম শাফি‘ঈ (রা.)’র সুরে সুর মিলিয়ে গলা ফাটিয়ে বলতে ইচ্ছা করছে,
ان كان حبُّ الوليّ رفضًا – فانّني أرفض العباد
ان كان رفضا حبُّ ال محمّد – فليشهد الثقلان أنّي رافضي
ইন কা-না হুব্বুল অলিয়্যি রফদ্বান, ফাইন্নানী আরফাদ্বুল ‘ইবাদি।
ইন্ কা-না রফদ্বান হুব্বু আলি মুহাম্মাদিন, ফাল্ইয়াশহাদিছ ছাক্বালা-নি আন্নী রাফিদ্বী।
‘ওলীর প্রেম যদি হয় শিয়াত্ব; তবে অতি-অবশ্য আমি শিয়াশ্রেষ্ঠ। আলে মুহাম্মদ (দ.)’র প্রেম যদি হয় শিয়াবাদ; তবে মানব-দানব সকলে যেন সাক্ষ্য দেয় আলবৎ আমি শিয়া’।
(সূত্র: আসসাওয়া‘ইকুল মুহরিক্বাহ, মুহাদ্দিস আহমদ বিন হাজর আল হায়তমী আল মক্কী (৮৯৯ হি. ১৪৯৪ খ্রি.- ৯৭৪ হি. ১৫৬৬ খ্রি.) ইস্তাম্বুল তুর্কি, পৃষ্ঠা ১৩৩)
উক্ত পংক্তিতে ওলী বলতে মাওলাই কায়িনাত (রাদ্বি.)কে বুঝানো হয়েছে। যেহেতু হাদীসে পাকে ইরশাদ হচ্ছে, ان عليًّا مّنّي وأنامنه وهو وليّ كلّ مؤمن بعدي  ইন্না আলিয়্যাম্ মিন্নী ওয়া আনা- মিনহু ওয়া হুয়া অলিয়্যু কুল্লি মু’মিনিম্ বা’দী।
অর্থাৎ ‘নিশ্চয় আলী আমার থেকে আর আমি আলী থেকে এবং তিনি আমার পরে সকল মু’মিনের ওলী বা বন্ধু বা অভিভাবক।’ (সূত্র: প্রাগুক্ত ১২৪ পৃষ্ঠা)।
বেশ কিছু দিন ধরে অনেকে অনুরোধ করছেন, মাওলা-ই কায়িনাত (রাদ্বি.) সম্পর্কে কিছু লিখতে বা বলতে। পরন্তু আমি নীরব, কিংকর্তব্যবিমূঢ়! মাওলার শান ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে দেখে হিয়ার খুন বয়ে গেলেও রাও করা রীতিমতো দুঃসাহস! অতি ভালবাসার ধুয়াতে ফতওয়ার তরবারীতে শিরোচ্ছেদে সদা খড়গ-হস্ত মুফতি সাহেবানরা! অধিকন্তু মনে হয় ঐতিহাসিক সিফফীন-কারবালার যুদ্ধের দৃশ্যপট সামনে রেখেই যেন, কে কোন্ পক্ষাবলম্বনের মানসিকতা লালন করে, তা যাচাই-বাছাই হচ্ছে!
কোন বক্তার অন্তর যদি সাক্ষ্য দেয় তাঁর পীর আসহাবে রাসূল (দ.) অপেক্ষাও মর্যাদাবান এবং এ বর্জ্য আওয়ামুন নাসকে গিলাতে আলে রাসূল (দ.)’র মর্যাদার ধোয়া তুলে উপস্থিতির সমর্থনও আদায় করে নেন মুফতি সাহেবানদের সাক্ষী করে, তখন নীরবতায় সম্মতি জানাতে দেখা যায়! যেহেতু বক্তা তাঁদের জ্ঞাতি ভাই, যদিও তাঁর বক্তব্য কুরআন-সুন্নাহ, ইজমা ও ক্বিয়াসের বিপরীত! আবার মাওলা-ই কায়িনাত (রাদ্বি.)’র কোন ভৃত্যের অন্তর যদি মদ হারাম হওয়ার পূর্বে তিনি (রাদ্বি.) পান করেছেন, এমন কথায় সায় না দেয়, তবে অতি-ভালবাসার প্রশ্ন তুলে তাঁদের শিয়ার কাতারে দাঁড় করিয়ে দিতেও একটু কুণ্ঠিত হননা মুফতী সাহেবান হুযূরগণ! যদিও যে রাওয়ায়ত বা বর্ণনার ভিত্তিতে তাঁদের এ শাহাদত বা সাক্ষ্য তার সনদ ও মতন বা বর্ণনাসূত্র ও বিষয়বস্তু কোনটিই বিতর্কের উর্ধ্বের নয়! হায়রে ফতওয়া! হায়রে মুফতী! হায়রে আপন পরে বৈষম্য!
আফসোস! যুগের হাওয়া বড়ই মাতাল! হাওয়ায় না গা ভাসিয়ে দেওয়ার সুযোগ আছে, না বিপরীত চলার শক্তি! তবে কি নীরবতায় মুক্তি? আত্মজিজ্ঞাসায় পরাভূত হয়ে তাঁদের অনুরোধে সাড়া দিতেই হল। তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম পবিত্র রমদ্বান মাসে শাহাদতে মাওলা-ই কায়িনাত উপলক্ষে ছোট্ট হলেও একটি নিবন্ধ লেখার চেষ্টা করবো। ওই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে মসি ধারণ, প্রভু শক্তি দাও।
প্রাজ্ঞ-বিজ্ঞ লিখক-গবষেক মহোদয়দের আত্মম্ভরিতাই বড় সমস্যা। অন্যথায় সংশোধনের পর পূর্ববর্তী বক্তব্যের সমর্থনে সাফাই গাওয়ার কোন মানেই হয়না। ভুল যদি না হয়, তবে সংশোধন কেন? তাঁদের ধারণা যদি তাঁরা ভুলই করতে পারেন না, তবে তাঁরা-তো নিজেদের জন্যও ‘ইসমতের আক্বীদাহ রাখেন বৈকি!
হাফিয বা সংরক্ষক ও মাহ্ফূজ বা সংরক্ষিতের বিষয়টিকে ছেলেখেলা বানিয়ে ফেললে-তো কুরআনে কারীমের অবিকৃত-অক্ষত থাকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয় বৈকি! ইরশাদ হচ্ছে, انّا نحن نزّلنا الذّكر وانّا له لحافظون  ‘ইন্না- নাহনু নাযযালনা-য্ যিকরা ওয়া ইন্না- লাহূ লাহা-ফিযূন’ ‘নিশ্চয় আমিই অবতীর্ণ করেছি এ যিকর (কুরআনে মাজীদ), অবশ্য আমিই সেটার সংরক্ষক’ (সূরাতুল হিজর ৯ নম্বর আয়াত)। আরো ইরশাদ হচ্ছে, بل هو قران مّجيد في لوح مَّحفوظٍ ‘বাল্ হুয়া কুরআনুম্ মাজীদুন ফী লওহিম্ মাহ্ফূয’ অর্থাৎ ‘বরং সেটা পূর্ণমর্যাদাবান কুরআন; যা এমন ফলকে লেখিত, যা সংরক্ষিত’ (সূরাতুল বুরূজ ২১-২২ নম্বর আয়াত)।
কোন কোন কিতাবে ওই রাওয়ায়তটির থাকা তাঁদের জন্য মোটেও ঢাল হবেনা। আবূ ঈসা তিরমিযী (রা.) সহ অন্যান্যরা রাওয়ায়তটির রাবী মাত্র। আর তাঁরা এমন ভাবে উপস্থাপন করেছেন, ঠিক একজন প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে যেন সাক্ষ্য দিচ্ছেন! ভাগ্য কিছুটা সুপ্রসন্ন, তবেই-তো তাতে মাতাল আহাজারীর মতো ঔদ্ধত্য প্রকাশ পায়নি।
আশা করি, বাড়াবাড়িতে জড়িয়ে অতটুকু ঔদ্ধত হবেনও না। যেহেতু আলিমদের কাছে আল্লাহ তা‘আলার ভয়ই সর্বাগ্রে বিবেচ্য। ইরশাদ হচ্ছে, انّما يخشى الله من عباده العلماءُ ‘ইন্নামা- ইয়াখ্শাল্লা-হা মিন্ ‘ইবা-দিহিল্ উলামা-উ’ অর্থাৎ ‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে শুধু আলিমগণই (পূর্ণরূপে) তাঁকে ভয় করেন’ (সূরাতুল ফাত্বির ২৮ নম্বর আয়াতাংশ)। উম্মত বৎসল নবী উম্মতকে সতর্ক করে খুম কূপের পাদদেশে দাঁড়িয়ে দেওয়া ভাষণে আহলে বায়্ত বিষয়ে যে সতর্কবাণীর ঘোষণা দিয়েছেন, তার কিয়দাংশের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ইরশাদ হচ্ছে, اذكّركم الله في اهل بيتي أذكرّكم الله في اهل بيتي اذكّركم الله في اهل بيتي  ‘উযাক্কিরুকুমুল্লা-হা ফী আহলি বায়্তী উযাক্কিরুকুমুল্লা-হা ফী আহলি বায়্তী উযাক্কিরুকুমুল্লা-হা ফী আহলি বায়্তী’
অর্থাৎ ‘আমি তোমাদের আমার আহলে বায়্তের বিষয়ে আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। আমি তোমাদের আমার আহলে বায়্তের বিষয়ে আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। আমি তোমাদের আমার আহলে বায়্তের বিষয়ে আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি’। (সূত্র: সহীহ মুসলিম কিতাবু ফদ্বায়িলিস্ সাহা-বাহ, মিন্ ফদ্বা-য়িলি আলিয়্যিবনি আবী ত্বা-লিব রাদ্বিয়াল্লা-হু আনহু)। আরো ইরশাদ হচ্ছে, فانظروا كيف تخلفوني فيهما ‘ফানযুরূ কায়্ফা তাখ্লুফূনী ফীহিমা-’ অর্থাৎ ‘অতঃপর সতর্ক থাকবে যে, আমার পর এ দু’টোর সাথে কী আচরণ করছো!’ (সুনানুত তিরমিযী কিতাবুল মনা-ক্বিবি আর্ঁ রাসূলিল্লা-হি সাল্লাল্লা-হু আলায়হি ওয়া সাল্লামা বাবুন ফী মনা-ক্বিবি আহলি বায়তিন্ নবীয়্যি সাল্লাল্লা-হু আলায়হি ওয়াসাল্লামা)। আর আহলে বায়তের অন্যতম সদস্য হলেন মাওলা-ই কায়িনাত (রাদ্বি.)। হাদীসে পাকের ঘোষণা,
عن عائشة رضي الله عنها قالت خرج النبي صلي الله عليه وسلم غداة و عليه مرط مرحل‘ من شعر اسود فجاء الحسن بن علي رضي الله عنهما فادخله‘ ثم جاء الحسين رضي الله عنه فدخل معه‘ ثم جاءت فاطمة رضي الله عنها فادخلها‘ ثم جاء علي رضي الله عنه فادخله‘ ثم قال (انما يريد الله ليذهب عنكم الرجس اهل البيت ويطهركم تطهيرا) [الاحزاب] رواه مسلم
‘আন্ আ-য়িশাতা রাদ্বিয়াল্লা-হু আনহা- ক্বা-লাত খারজান্ নবীয়্যু সাল্লাল্লা-হু আলায়হি ওয়া সাল্লামা গদা-তান্ ওয়া আলায়হি মিরতুম্ মুরাহ্হালুম্ মিন্ শা’রিন আসওয়াদা। ফাজা-য়াল হাসানুবনু আলিয়্যিন রাদ্বিয়াল্লা-হু আনহুমা- ফাদখালাহু, ছুম্মা জা-য়াল হুসায়নু রাদ্বিয়াল্লা-হু আনহু ফাদাখালা মা‘আহু, ছুম্মা জা-য়াত্ ফা-ত্বিমাতু রাদ্বিয়াল্লা-হু আনহা- ফাদখালাহা- ছুম্মা জা-য়া আলিয়্যুন রাদ্বিয়াল্লা-হু আনহু ফাদখালাহু, ছুম্মা ক্বা-লা (ইন্নামা য়ুরীদুল্লা-হু লিয়ুয্হিবা ‘আনকুমুর  রিজ্সা আহলাল বায়্তি ওয়া য়ুত্বাহ্হিরাকুম তাত্বহিরান) (সূরাহ আহযাব -৩৩) রাওয়া-হু মুসলিমুন। অর্থাৎ: ‘উম্মুল মু’মিনীন হযরত আ-য়িশাহ সিদ্দীক্বাহ (রাদ্বি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা প্রত্যুষে নবী করীম (দ.) কালো পশমের কারুকাজ করা চাদর জড়িয়ে বের হলেন। অতঃপর আলী তনয় হাসান (রাদ্বি.) এলে তাঁকে ওই চাদরে প্রবেশ করিয়ে নেন। অতঃপর হুসাইন (রাদ্বি.) এসে তাঁর সাথে ওই চাদরে প্রবেশ করেন। অতঃপর ফাত্বিমাহ (রাদ্বি.) এলেন, তাঁকেও ওই চাদরে প্রবেশ করিয়ে নেন। অতঃপর আলী (রাদ্বি.) এলে তাঁকেও তাতে প্রবেশ করিয়ে নেন। অতঃপর ইরশাদ করেন, (হে আহলে বায়্ত! আল্লাহ-তো চান যে, তোমাদের থেকে (সর্বপ্রকার) অপবিত্রতা দূর করে দিতে এবং তোমাদের উত্তম রূপে পবিত্র করতে) [সূরাহ আহযাব ৩৩ নম্বর আয়াত] এ হাদিসটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।’
عن عمر بن ابي سلمة ربيب النبي صلي الله عليه وسلم قال لمّا نزلت هذه الاية علي النبي صلي الله عليه وسلم  (انما يريد الله ليذهب عنكم الرجس اهل البيت ويطهركم تطهيرا) [الاحزاب] في بيت ام سلمة رضي الله عنها فدعا فاطمة‘ و حسنا‘ وحسينا رضي الله عنهم فجلّلهم بكساء‘ وعلي رضي الله عنه خلف ظهره فجلّله بكساء‘ ثم قال: اللّهم هؤلاء اهل بيتي‘ فاذهب عنهم الرجس وطهرهم تطهيرا‘ قالت ام سلمة رضي الله عنها وانا معهم يا نبي الله‘ قال انت علي مكانك وانت علي خير- رواه الترمذي
‘আন্ উমারাবনি আবী সালমাতা রাবীবিন্ নাবীয়্যি সাল্লাল্লা-হু আলায়হি ওয়া সাল্লামা ক্বা-লা নাযালাত্ হাযিহিল আয়াতু আলান্ নাবীয়্যি সাল্লাল্লা-হু আলায়হি ওয়া সাল্লামা (ইন্নামা য়ুরীদুল্লা-হু লিয়ুয্হিবা ‘আনকুমুর রিজ্সা আহলাল বায়্তি ওয়া য়ুত্বাহ্হিরাকুম তাত্বহিরান) [সূরাহ আহযাব -৩৩] ফী বায়তি উম্মি সালামাতা রাদ্বিয়াল্লা-হু আনহা-; ফাদা‘আ ফাত্বিমাতা ওয়া হাসানান্ ওয়া হুসায়নান্ রাদ্বিয়াল্লা-হু আনহুম ফাজাল্লালাহুম বিকিসা-য়িন্ ওয়া আলিয়্যুন রাদ্বিয়াল্লা-হু আনহু খালফা যাহরিহি ফাজাল্লালাহু বিকিসা-য়িন্, ছুম্মা ক্বা-লা আল্লা-হুম্মা হাউলা-য়ি আহলু বায়তি ফায্হাব্ আনহুমুর রিজ্সা ওয়া ত্বাহহিরহুম তাত্ব্হিরান; ক্বা-লাত উম্মু সালামাতু ওয়া আনা মা‘আহুম্ ইয়া নাবিয়্যাল্লা-হি, ক্বা-লা আনতি আলা মাকা-নিকি ওয়া আনতি আলা খায়রিন, রাওয়া-হুত্ তিরমিযীয়্যু।
অর্থাৎ: ‘নবী করীম (দ.) পালিত উমার বিন আবী সালমাহ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মে সালামাহ (রা.)’র ঘরে এ আয়াত (হে আহলে বায়্ত! আল্লাহ-তো চান যে, তোমাদের থেকে (সর্বপ্রকার) অপবিত্রতা দূর করে দিতে এবং তোমাদের উত্তম রূপে পবিত্র করতে) [সূরাহ আহযাব ৩৩ নম্বর আয়াত] অবতীর্ণ হয়, তখন তিনি (দ.) ফাত্বিমাহ, হাসান ও হুসাইন (রা.)কে ডাকলেন এবং তাঁদের একটি চাদরে ঢেকে নিলেন। এমতাবস্থায় আলী (রা.) তাঁর (নবী করীম (দ.)’র) পিছনে ছিলেন, তাঁকেও চাদরে ঢেকে নিলেন। অতঃপর ইরশাদ করলেন, হে আল্লাহ! এরা আমার আহলে বায়্ত। অতএব, তাঁদের থেকে যাবতীয় অপবিত্রতা দূর করে দাও এবং তাঁদের উত্তম রূপে পবিত্র করে দাও। উম্মে সালামাহ (রা.) বললেন, হে আল্লাহর নবী! আমিও তাঁদের সাথে হই। নবী করীম (দ.) বললেন, তুমি আপন অবস্থানে সুরক্ষিত রয়েছো এবং তুমি-তো উত্তম অবস্থানে রয়েছো। এ হাদীসটি আবূ ঈসা তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।’
সূরাহ নিসার ৪৩ নং আয়াতের শানে নুযূলে তিরমিযী বর্ণিত বর্ণনা ও অবতরণ প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা সময় সুযোগ মতো করা হবে ইনশা আল্লাহ। অবশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ওই বর্ণনার সনদ (বর্ণনাসূত্র) ও মতন (বিষয়বস্তু) নিয়ে  বিজ্ঞজনরা জ্ঞানগর্ভ আলোচনা তুলে ধরেছেন। বিবেকবানদের জন্য ইঙ্গিতই যথেষ্ট। 
মায়াস্ সালাম।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *