স্মৃতির পাতায় “শাহযাদাহ সৈয়্যদ মুহাম্মদ আবূ ত্বালিব শাহ রহিমাহুল্লাহ”

শাহযাদা সৈয়্যদ আবূ ত্বালিব ফরহাদাবাদী (রহ.)

স্মৃতির পাতায়

“শাহযাদাহ সৈয়্যদ মুহাম্মদ আবূ ত্বালিব শাহ রহিমাহুল্লাহ”


অনেক চড়াই-উতরাই ফেরিয়ে সফলতার কাব্যময়-বর্ণময় জীবন শেষে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি প্রত্যাগমনকারী হলেন ত্বালিব শাহ।
আবার হবে দেখা হাশরকালে, লিওয়া-ই আহমদীর তলে;
কোরাস গাইব, ইয়া গাউসু সালাম আলায়কা।
শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও সামাজিক ছোটখাটো অনুষ্ঠানেও যোগদান করতেন। আত্মীয়তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে নবীবর(দ.)’র বাণী ‘যে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে, তার সাথে জুড়ো’ নীতি-অবলম্বী ছিলেন। যে কারো বিপদাপদে যখন-তখন ছুটে যেতেন।
মাইজভাণ্ডারী ত্বরীকাহ-দর্শন অনুশীলনে ছিলেন সনিষ্ঠ। ত্বরীকাহর প্রচার-প্রসারে ছিলেন উৎসর্গপ্রাণ। আক্বীদাহর প্রশ্নে আপসহীন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ছিলেন। অনেকে তা-ই তাঁকে রাগী বা মেজাজী বলেন, আমি কিন্তু তা সমর্থন করিনা। আমি ইচ্ছা করে তাঁকে খ্যাপাতে চেয়েও পারিনি। নিজের সীমাবদ্ধতা আর সারল্য হেতু প্রতারিত হবার কথা মৃদুহাস্যে অকপটে স্বীকার করতেন।
চিতার দহন বুকে তিনি হাসতে পারতেন; ঠিক কুলালের আগুন ওপরে ঢাকা ভিতরে জ্বলে ভষ্ম হওয়ার মতো। সদাহাস্য চেহারাটার অন্তরালে লুকানো ছিল এক অব্যক্ত দুঃখ-যন্ত্রণা। একদা তাঁর মেহেদীবাগের বাসায় একান্ত আলাপচারিতায় অব্যক্ত বেদনার জলীয় বাষ্পও দৃশ্যত হয়েছিল আমার সম্মুখে! আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ়, সান্ত্বনাবাক্যহারা! অবশেষে নিজেকে সামলে নিয়ে ওই কথা কখনো প্রকাশ না করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন।
এ জগতে অন্যকে খাটো করে নিজের বড়ত্ব প্রকাশক মানুষ ঢের রয়েছে; কিন্তু ছোটকেও মহান ভাবার মানুষ বড়ই বিরল। এ বিরল শ্রেণীর ছিলেন প্রিয় তালেব দা। যা বলতেন অন্তর থেকে বলতেন, কোন ধরনের মেকিতার ধার ধারতেন না।
বড়দা শাহযাদাহ সৈয়্যদ মৌলভী লুৎফুল হক্ব রহমতুল্লাহি আলায়হির জানাযার পর বলেছিলেন, এবার আমার পালা। সেদিন বলেছিলাম আপনাকে আমাদের লাগবে। নিজের নয়, ফরহাদাবাদ দরবার শরীফের প্রয়োজনে আপনাকে থাকতে হবে। আজীবন নিঃস্বার্থ ও পরামর্শশ্রোতা তোমার এ কেমন স্বার্থপরতা? আমাদের আব্দার উপেক্ষা করে কেন চলে গেলে? জানি, দাদাজানের প্রতিবেশে যাওয়ার তাড়া ছিল তোমার; তা-ই বলে বৈশ্বিক সঙ্কটকালে চলে যেতে হয় নাকি? ঠিক আছে, চলেই যখন গেলে তবে দাদাজানকে নিয়ে গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রা.)’র দরবারে এ বৈশ্বিক সঙ্কট থেকে মুক্তির আর্জি জানাবে। তোমার মিনতি দাদাজান ফেলতে পারবেননা, আর দাদাজানের ফরিয়াদ গাউসুল আ’যমের দরবারে সদা অপ্রত্যাখ্যাত।
আমার লবণ চায়ের আব্দার নিয়ে দাদা তুমি কোন চিন্তা করোনা, একে একে আপনজনদের হারিয়ে আমার চঞ্চলতা-মুখরতার স্বভাব গাম্ভীর্যে বদলে গিয়েছে।
পরিশেষে আল্লাহ তা‘আলার দরবারে নিবেদন, আল্লাহ তাঁর হাবীব(দ.)’র উসিলায় আপনার আত্মাকে আহলে ইয়াক্বীন বা সংশয়মুক্তদের সমাবেশে স্থান দিন। আল্লাহুম্মা আমীন বিজাহী রহমতিল্লিল আলামীন ওয়া আহবাবিহী ওয়া আহিব্বায়িহী আজমাঈন।
[মাওলানা বোরহান উদ্দিন মুহাম্মদ শফিউল বশর’র ফেসবুক আইডি হতে সংগৃহীত] 

sufi maizbhandari, maizbhandari song,tarika e maizbhandari,golamur rahman maizbhandari,ahmadullah maizbhandari,maizbhandari gaan, maizbhandari kalam,maizbhandari,maizbhandari sema,maizbhandari song,maizbhandari zikir,maizbhandari gan,maizbhandar,baba maizbhandari,maizbhandari songs,new maizbhandari song,maizbhandar sharif,dakhe jare maizbhandari,latest maizbhandari song,maizbhandar darbar,biography of maizbhandari,mazbandari gan,gausul azam maizbhadari,maizvandari,bhandari

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *