গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী রাদ্বিয়ানহুল্লাহুল বারী’র দরবারে বাহরুল উলুম আল্লামা মক্ববূল কাঞ্চনপুরী (রাদ্বি.)’র নিবেদন

গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী রাদ্বিয়ানহুল্লাহুল বারী’র দরবারে বাহরুল উলুম আল্লামা আব্দুল গনি আচ্ছাফী আল মক্ববূল কাঞ্চনপুরী (রাদ্বি.)’র নিবেদন –

[এক]

শাহে মরদানে খোদা বস গাউসে আ’যম আপহেঁ,
যুমরায়ে মরদানে হক্বমেঁ বস মু‘আযযম আপহেঁ।

আপকা মক্ববুল জূ হে হূ ওহী মক্ববুলে হক্ব,
হক্বকা হে মরদুদ জূ মরদুদো আছেম আপহেঁ।

আউলিয়া জেতনে হেঁ সব হেঁ আপকে যেরে কদম,
আউলিয়াল্লাহ মেঁ আয বস মুর্কারম আপহেঁ।

আউলিয়া মেঁ আপকা ফরমান নাফেয হে সদা,
যুমরায়ে মরদানে হক্ব পর শাহে আহকম আপহেঁ।

আপহেঁ মখদূম কুল আউর আপকা খাদেম হেঁ সব,
কুতবে আফখম নূরে আলম গাউসে আ’যম আপহেঁ।

আউলিয়া সবহেঁ সেতারে আপহেঁ খুরশিদে হক্ব,
বাদশাহে ক্বহরেমাঁ সুলতানে আ’যম আপহেঁ।

খলকো আলম হেঁ ইবারত আপহেঁ মযমুনে কুল,
আদমী সবহেঁ মতন মা’নায়ে আদম আপহেঁ।

জুমলাহ আলম বুলবুলাহহেঁ আপহেঁ বস আসলেয়ম,
জুমলাহ আলম কালবদহেঁ জাঁনে আলম আপহেঁ।

আরযূ হে মিট রহোঁ যেরে ক্বদম চূঁ নকশে পা,
বেদিলে মক্ববূলকা বস শাদিয়ো গম আপহেঁ।

[দুই]

আয় মেরে বাগ মেঁ আয় জানে জাহাঁ মাইজভান্ডারী।
তেরে জুদাই- মে সাহা দেখি এ কেয়া বেকরারী।
নুরী কদমছে দি জীয়ে রওশনী মেরে বাগ কো।
আয় তেরে চেহরা কি ঝলক সমচো কমর ভী মোস্তরী।
নজমে নয়ন তুঝ কো বানাওঁগা মেরে পেয়ারে সজন্।
ভরকে নয়ন দেখোঁ তেরে হোছন কা তব্ জল্ওয়াগরী।
জোলফ কা দাম মে পীয়া দানা হায় খাল যু তেরে।
হার দো জাহাঁ আছির হেঁ মুসাভী আওর সামেরী।
মিম্ কি ঘোঁঘট মেঁ ছেপে খুব্ কি তোমনে দিলবরী,
উম্মতী রঙ্গমে কভী কবহী লিয়া পয়াম্বরী।
লাইলী কি রঙ্গমে কভী কায়েচকা দিলকো তোমনে লী।
জাঁ কবহী ফরহাদকা লে দেখলায়া শিরীঁ পায়করী।
লবজে আনল হক্ বোলকে দার পে কবহী আছাড়হা।
মুফতী বনে কব্হী দিয়া ফতোয়ায়ে কুফরো কাফেরী।
বেদিলে মকবূল কো আব করকে দিওয়ানা দর বদর।
গাউসুল আযম দিয়া হায় তোমনে খুব দাদে দিলবরী।


কাব্যিক অনুবাদ

[মাওলানা বোরহান উদ্দিন মুহাম্মদ শফিউল বশর]


[এক]

মর্দে খোদাগণের সম্রাট গাউসে আ’যম আপনি,
আরিফ দলের মাঝে সর্ব সম্মানিত যে আপনি।

তব গৃহীত যে প্রভুর অনুগৃহীত হবে সে,
খোদার কাছে বিতাড়িত যারে তাড়িয়েছেন আপনি।

আউলিয়াগণ সকলই আপনার চরণ গত,
আউলিয়াল্লাহদের মাঝে মর্যাদাবান যে আপনি।

আউলিয়াকুলে জারী আপনারই হুকুম সর্বদা,
প্রভু তত্ত্বজ্ঞানীগণ পরে হুকুমদাতা যে আপনি।

তুমি সেবিত সবের সকলই তব সেবাদাস,
কুতবে আফখম নূরে আলম গাউসে আ’যম আপনি।

আউলিয়াগণ হন তারকা প্রভু তপন যে আপনি,
প্রবল প্রতাপশালী বাদশাহ সুলতানে আ’যম আপনি।

সৃষ্টি জগত রচনা সর্বমূল সার আপনি,
মানব সকলই পাঠ আদম মর্ম যে আপনি।

সকল সৃষ্টি বুদ্বুদ সাগর মূল যে আপনি,
সর্বজগৎ দেহ জগৎ প্রাণ যে আপনি।

কদম তলে পদচিহ্ন হতে অভিলাষ মনে,
আশাহত মকবূলের আনন্দ-বেদনা আপনি।

[দুই]
এস আমার কুঞ্জবনে হে জগৎপ্রাণ মাইজভাণ্ডারী,
তোমার বিরহেতে শাহা দেখ কি যে বেকরারী।
নূরী কদম হতে দাও রূশ্নি আমার বাগে,
হে তব চেহেরার ঝলক রবি, শশী, তারার উপরি।
নয়নের অঞ্জন করবো তোমায় হে মোর প্রিয় সজনী,
চোখ ভরিয়ে দেখবো তোমার রূপের তখন বাহাদুরী।
বক্র ঝুলফির ফাঁদে প্রিয়া তিলক ফোটা যে তোমার,
উভয় জগত বন্দি মূসা কিবা সামেরী।
মিমের ঘোমটায় চুপে করেছো উত্তম দিলবরী,
উম্মতের রঙে কভু নিয়েছ কখনও পয়গম্বরী।
লায়লার রূপে কভু কায়েসের দিল হরলে তুমি,
ফরহাদের প্রাণও নিলে দেখিয়ে আনন রূপে শিরি।
‘আনাল হক্ব’ বাক্য বলে শূলিতে কভু এসে চড়লে,
মুফতী হয়ে ফের দিলে ফতওয়ায়ে কুফর ও কাফেরী।
বেদিল মকবূলে এবার করে দিওয়ানা দরবদর,
গাউসুল আ’যম দেখালে তুমি প্রেমাষ্পদত্বের ঠমক তোমারি।

শানে গাউসুল আ’যম  মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *