আল্লমা এস এম জাফর ছাদেক আল আহাদী
শাহানশাহে মাইজভাণ্ডার ইমামুল আউলিয়া ওয়াত্ত্বরীক্বত হযরত ক্বিবলায়ে আলম, গাউসুল আ’যম শাহে দু’আলম সৈয়্যদ আহমদুল্লাহ মাইজভাণ্ডারী রাদ্বিয়া আনহুল্লাহুল বারী’র মহিমাপূর্ণ সত্তার সাথে সম্পৃক্ততা সূত্রেই মাইজভাণ্ডারী ত্বরীক্বা-দর্শনের বিষয়াবলী নির্ধারিত ও নির্ণীত হয়। অতএব আলােচ্য বিষয়ালােকে মাইজভাণ্ডারী ত্বরীকায় প্রচলিত যিকর ও সামা এবং তৎ সংযুক্ত মাইজভাণ্ডারী গান-গীতি-গজল, সঙ্গীত ইত্যাদির যােগসূত্র নিরূপণ ও মূল্যায়ন করা প্রয়ােজন। এখানে আরাে লক্ষণীয় যে, সামার ক্ষেত্রে চিশতীয়্যাহ্, মৌলভীয়্যাহ্ প্রভৃতি ত্বরীক্বার সমন্বয় ঘটেছে শুধু তা নয়, যিকরুল্লাহ্, যিকরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা, আম্বীয়া-আউলিয়া বন্দনা, ইমামুত্ত্বরীক্বাতের বন্দনা, আত্মশুদ্ধির চেতনা, মানবতার উৎকর্ষ সাধন, সমাজ সচেতনতা, ধর্মীয় মূল্যবােধ জাগ্রতকরণ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি-সাম্য-মৈত্রীর আদর্শে উদ্বুদ্ধকরণ এবং মানব শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের যুগােপযােগী দিগদর্শন প্রভৃতির সমন্বয়ও ঘটেছে। তা মাইজভাণ্ডারী ত্বরীকায় সমাদৃত, চর্চিত ও রচিত গান-গীতি-গজল ইত্যাদি দৃষ্টে প্রতিভাত হয় । এতদসত্ত্বে ইমামুল আউলিয়া ওয়াত্ত্বরীক্বত হযরত ক্বিবলায়ে আলম গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে এ সবের সম্পৃক্ততা মর্মে নিম্মােক্ত সূত্রাবলী প্রণিধান যােগ্য।
সামার সাথে সম্পৃক্ততা:
এক. ওছিয়ে গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী (ক.) বর্ণনা করেন, “আঁ-হজরত কেবলা কাবার দায়রা শরীফের সােজা দক্ষিণ দিকে মধ্যখানে একটি ‘দর’ বা বাহির উঠানে আসার পথ বাদ, ছৈয়দ মৌং আবদুল করিম সাহেবের যেই কাছারী ঘর ছিল, তাহাতে ছােট মৌলানা শাহছুফী ছৈয়দ আমিনুল হক কুত্ববে এরশাদ ওয়াছেল মাইজভাণ্ডারী ছাহেব, মুরিদান এবং পীরভাইগণ সহ হালকা জজবা করিতেন ও করাইতেন। আমরাও সেই ঘরে হাজির হইতাম ও তাঁহার তালিম নিতাম। তিনি উপস্থিত হইতে না পারিলে উক্ত আবদুল মজিদ মিঞাকে তালিম দিবার হুকুম দিতেন। একদা বাদে মাগরিব, নামাজান্তে নিয়মিত হালকা জজবার মজলিশ বসিলে ছােট মৌলানা ছাহেবের অনুপস্থিতে, আবদুল মজিদ মিঞা উপস্থিত ছিলেন। আমি তাঁহার দক্ষিণ পাশে বসিয়া ছিলাম। এই কাছারী ঘরখানাকে হজরত কেবলা ‘দপ্তরখানা’ বলিতেন। হজরত আকদাছ লােক বিশেষকে কোন কোন সময় বলিতেন, দপ্তরখানায় আমার আমিন মিঞার কাছে গিয়া বস।” (জীবনী ও কেরামত, ষষ্ঠ প্রকাশ,২৪৫ পৃষ্ঠা)।
দুই. “চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার পাইন্দং নিবাসী মরহুম মৌলানা সাদুল্লাহ ছাহেবের পুত্র মােহাম্মদ এসহাক ছাহেব হজরতের ভক্ত ছিলেন। তিনি প্রায় সময় হযরতের খিদমতে আসিতেন। কোন কোন সময় হযরত তাহাকে আদেশ দিতেন, “মামু ছাহেব, ‘বাঁশের ঘরে বাস করিয়া’ গানটি গাও তাে।” তখন তিনি দোজানু হইয়া হযরতের সামনে বসিয়া নিজ হাটুর উপর দুই হাতে তাল বাজাইয়া গাহিতে থাকেন:
ওহে জগ মহাঠক কেন কর দিলদারী।
বাঁশের ঘরে বাস করিয়ে পাকাইনু চুল দাড়ী “ইত্যাদি” (গুরুদাস রচিত)।
প্রসিদ্ধ গায়ক গুরুদাস হযরতের ভক্ত ছিলেন। তিনি হযরতের সামনে বসিয়া খঞ্জনী বাজাইয়া বৈরাগী সুরে হজরতকে গান শুনাইতেন। হযরত উহা মনযােগের সহিত শ্রবণ করিতেন। তিনি গুরুদাস ফকির নামে পরিচিত। ইহা ছাড়া হজরতের মুরিদ শিষ্য-বােয়ালখালী থানার অন্তর্গত আহলা মৌজার কাজী মৌলভী আছদ আলী, পটিয়ার গােবিন্দেরখিল মৌজার শাহ্ আমিরুজ্জমান, কাঞ্চনপুর নিবাসী মৌলানা আবদুল হাদি ছাহেবানের মধ্যেও কেহ কেহ হজরতের খেদমতে গান, গজল, নাতিয়া শুনাইতে অনুমতি চাহিলে, তিনি অনুমতি দিতেন এবং শ্রবণ করিতেন।” (প্রাগুক্ত: ১৮২ পৃষ্ঠা)।
তিন. “এক সময় আজিম নগর নিবাসী মাষ্টার ফয়েজউল্লাহ ছাহেব বাড়ীতে মৌলানা মহিউদ্দীন নামক একব্যক্তিকে মাইজভাণ্ডারী তরিকামতে হালকা জিকির, ছেমা ও সেজদায়ে তাহিয়্যা সম্বন্ধে মাইজভাণ্ডারী ভক্তগণের বিরুদ্ধে ওয়ায়েজ করার জন্য দাওয়াত দেওয়া হয় ।
হজরতের মধ্যম ভ্রাতার দ্বিতীয় পুত্র ও অন্যতম খলিফা জনাব মৌলানা ছৈয়দ আমিনুল হক (প্রকাশ ছােট মওলানা) ছাহেব! আজিম নগর নিবাসী মুন্সি ছৈয়দ আফাজুদ্দিন ছাহেবের পুত্র হজরত ছাহেবানীর সহােদর ভ্রাতা ও হজরতের ফয়েজ প্রাপ্ত খলিফা আবদুল মজিদ মিঞাকে হুজুরের খেদমতে পাঠাইয়া আরজ করিলেন: হুজুর! আমরা বহু আলেম দরবারে পাকের শিষ্য ভক্তদের মধ্যে বর্তমান আছি । মহিষখালীর মৌলানা ইকামুদ্দিন ছাহেব, রাঙ্গুনীয়ার মৌলানা খলিলুর রহমান ছাহেব, বাঁশখালীর মৌলানা মােহছেন ছাহেব, সুন্দরপুরের মৌলানা আমিনুল্লাহ ছাহেব, কাঞ্চনপুরি মৌলানা আবদুল গণি (আয়নায়ে বারী প্রণেতা) ছাহেব, মৌং আবদুচ্ছালাম, মৌং আবদুল হাদি, ফরহাদাবাদী মৌলানা আমিনুল হক ছাহেব এবং হাফেজ কারী মৌলানা মােহাদ্দেছ ছৈয়দ তাফাজ্জল হােছাইন ছাহেব এবং আরাে অনেক বিখ্যাত আলেমগণ উপস্থিত আছেন । খােদার ফজলে আমাদের মধ্যে প্রায় সবাই মােনাজেরায় সুদক্ষ । হুজুরের অনুমতি পাইলে আমরা মৌলানা মহিউদ্দিনের সাথে বাহাছ মােনাজেরা করিতে ইচ্ছা করি ।
হজরত আদেশ করিলেন; “তিনি মুসবী তরিকার লােক, খিজিরী কাজ কারবার তিনি কি বুঝিবেন? তােমরা ফাছাদ ও বাহাছ করিওনা । আপন হালতে থাকিয়া যাও। তাহারা তােমাদের সঙ্গে মিলিয়া যাইবে।” তখন মৌলানা আমিনুল হক ছাহেবের (হজরতের ভ্রাতুস্পুত্র) আদেশে, আবদুল মজিদ মিঞার বাড়ীতে ছেমা সহ জজবার মজলিশ করা হয় ।
তাহারা ছেমার জজবা মজলিশ করা কালে যাহারা আবদুল মজিদ মিঞার বাড়ীর সামনে দিয়া যাইতে লাগিল ছেমার শব্দ কানে আসিতেই তাহাদের জজবা ও সমস্ত শরীর আলােড়ন হইতে লাগিল । সকলেই ইহা দেখিয়া অবাক হইয়া গেল। হিন্দুরা বলাবলি করিতে লাগিল, এই রাস্তা দিয়া যাইওনা। এই বাড়ীতে মক্কা চালান দিয়াছে। কেহ স্থির থাকিতে পারিবেনা। ফলে দেখা গেল মৌলানা মহিউদ্দিনের মজলিস জমিল না, উক্ত মজলিস হইতে প্রায় সকলেই জজবা হালত ও বেখােদ অবস্থায় এই হালকা ও ছেমার মজলিসে যােগদান করিতে লাগিল।”(প্রাগুক্ত: ১৮৫-১৮৭ পৃষ্ঠা)
উপরােক্ত ঘটনাবলীর আলােকে- মাইজভাণ্ডারী ত্বরীক্বায় প্রচলিত সামা’ ইমামুত্ত্বরীক্বত হযরত ক্বিবলা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কর্তৃক অনুমােদিত, নির্দেশিত এবং তদ্মধ্যস্থতায় অলৌকিক প্রভাব বিস্তার করার বিষয় সুপ্রমাণিত।
গান-গযলাদির সাথে সম্পৃক্ততা:
এক. উপরােক্ত তথ্যসূত্রে হযরত ক্বিবলা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কতেক ভক্ত, মুরিদ ও শিষ্যদের কিছু কিছু গান-গযলদি যে, অনুমােদিত হয়ে রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
দুই. হযরতের অন্যতম খলীফা শাহসূফী মাওলানা সৈয়্যদ আবদুল হাদী কাঞ্চনপুরী কুদ্দিসা সিররুহু’র গানস্থ ‘রঙ্গে হাদী মাতােয়ারা সঙ্গে গাউছেধন’ সংশােধনী প্রদান পূর্বক অনুমােদন এবং ‘গাউসে মাইজভাণ্ডার মােজহে সরবত পেলা দো’ ইত্যাদি মর্মীয় গানটি শৈশবে ওছিয়ে গাউসুল আ’যম কুদ্দিসা সিররুহু’র কণ্ঠে ধ্বনিত হলে সরবত পান করানাের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেন।
উপরন্তু এ রচয়িতার গান-গযলাদিকে ওযীফা হিসেবে গণ্য করার কথাও ইরশাদ করেন। (বেলায়তে মােতলাকা; জীবনী ও কেরামত)।
তিন. হযরত ক্বিবলায়ে আলম গাউসুল আ’যম রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র সাহচর্য ও অনুগ্রহ ধন্য খােলাফায়ে কিরাম লিখিত রচনাবলী তাে হযরত ক্বিবলার মহিমাপূর্ণ সত্তা ও তদীয় ত্বরীকা-দর্শন উপলব্ধির অন্যতম আয়না। তাঁদের সত্তা তাে মাইজভাণ্ডারী ত্বরীক্বা-দর্শনেরই সমুজ্জ্বল আলােকিত রূপ এবং পরবর্তীদের জন্য সঠিক পথের দিশারী । এতদসত্ত্বে তাঁরা প্রত্যেকই স্বীকৃত ওলীয়ে কামিল-মুকাম্মিল হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। অতএব তাঁদের রচনাবলী মাইজভাণ্ডারী ত্বরীক্বা-দর্শনের পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ দলিলই।
এ ক্ষেত্রে উত্তরসূরীদের কার্যক্রম:
খােলাফায়ে গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম স্ব স্ব মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত থেকে এ ত্বরীকা-দর্শনের অনুকূলে প্রামাণ্য যেসব রচনাবলী রেখে যান, তদ্মধ্যে গান-গীতি-গজল ইত্যাদির যথার্থ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ধর্মীয় দলিলাদির উদ্ধৃতি সমেত তুলে ধরা গেলে, মাইজভাণ্ডারী ত্বরীক্বা-দর্শন আরাে ব্যাপক সমৃদ্ধ হবে নিঃসন্দেহে।
মূলতঃ তাদের ওইসব রচনাবলী ভক্তের আকুতি মাত্র নয়, বরং আরাধ্য সত্তাকে অর্জন-সক্ষম ভক্তি-বন্দনা, সফল সাধনামার্গের অন্যতম অনুষঙ্গ, অধরাকে পাওয়ার প্রেমানলে বিদগ্ধ অধরায় বিলীনরূপ । যাতে ফুটে উঠে মাইজভাণ্ডারী ত্বরীক্বা-দর্শন তথা প্রকৃত ধর্ম-দর্শনেরই নির্যাস। যাতে রয়েছে আল্লাহ তা‘আলার পরিচয় জ্ঞানসহ তাওহীদের বর্ণনা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার সুমহান শান-মান মর্যাদার লক্ষে প্রেম-বন্দনা, সকল নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালামের প্রতি শ্রদ্ধা, সাহাবায়ে কিরাম ও আইম্মা-ই আহলে বাইত সহ সকল আউলিয়া-ই কিরাম রিদুওয়ানুল্লাহি তা‘আলা আলাইহিম আজমাঈন’র প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা, হযরত গাউসুল আ’যম রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র মহান মর্যাদার প্রতি ভক্তি-বন্দনাসহ তা সমুন্নত রাখার শিক্ষা, সঠিক ঈমান-আক্বিদাহ ও আমলের শিক্ষা, আল্লাহ তা‘আলার সান্নিধ্য লাভের সফল উসিলার কথা, সার্থক ইবাদতের কথা, নিষ্ফল ইবাদত থেকে সতর্ক করা, প্রকৃত ইসলামেরই সূচিত ধর্ম-সাম্যের জীবন্ত জয়গান, রিপুর তাড়না থেকে মুক্তির দিশা, যাবতীয় অনর্থ-অশুচি ও অশ্লীলতা বর্জনের শিক্ষা, লােভ-লালসা হিংসা-বিদ্বেষ বিবাদ-বিসংবাদ থেকে মুক্ত থাকার কথা, আল্লাহ তা‘আলার উপর নির্ভরশীল থাকার শিক্ষা, সুখ-দুঃখ সর্বাবস্থায় সন্তুষ্ট চিত্তে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার শিক্ষা, মুক্তির সুপথ, চির শান্তির পথ-সন্ধান, চির অমরত্বের পথ-সন্ধান, মানব শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৃষ্টান্ত তথা অনাবিল ধর্ম-দর্শন, সামাজিক দিগদর্শন সহ মানবীয়, জাগতিক, আধ্যাত্মিক, ইহ-পারলৌকিক ও মানবাত্মা-পরমাত্মা বিষয়ক চির সাফল্য লাভের সর্বাঙ্গীন দিগদর্শন।
তবে ওই সকল বিষয়াবলী সার্বজনীন সহজবােধ্য করতে যথাযথ দলিল প্রমাণ যােগে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ প্রয়ােজন।
অতএব উক্তরূপ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে উপনীত হওয়ার আবেদন স্বরূপ এ ত্বরীকা-দর্শনের বর্তমান প্রতিনিধিত্বকারী বিজ্ঞ মহলের বিবেচনায় এহেন উপস্থাপনার ক্ষুদ্র প্রয়াস।
উক্তরূপ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দাঁড় করানাে একার পক্ষে বা দু’য়েকজনের পক্ষে সহজ সাধ্য না হলেও, বিজ্ঞমহলের সম্মিলিত চিন্তা-চেতনার সমন্বয়ে একটি সহজতর পদ্ধতি উদ্ভাবন পূর্বক একযােগে অগ্রসর হলে, স্বাচ্ছন্দে লক্ষ্যে পৌঁছা অসম্ভব হবে না- আমরা মনে করি।
আমাদেরকে প্রথমতঃ ধারাবাহিক প্রতিটি গান-গজল ইত্যাদির উক্তরূপ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দাঁড় করাতে হবে, যাতে অনবধানে কোন বিষয় বাদ পড়ার আশঙ্কামুক্ত থাকা যায়। অতঃপর বিষয় ভিত্তিক অধ্যায়-পরিচ্ছেদে বিন্যাস করতঃ বিষয় সমষ্টির সারাংশ হিসেবে উপস্থাপন পূর্বক ধর্ম-দর্শন সমন্বিত এ ত্বরীক্বা-দর্শনের বিষয়ে এক সমৃদ্ধ, সহজ বােধ্য ও শক্তিশালী অবকাঠামাে দাঁড় করা যাবে; ইনশা আল্লাহু তা‘আলা।