দরবারে মুস্তফা সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হি ওয়াসাল্লামার আদব

দরবারে মোস্তফা
আল্লামা বোরহান উদ্দীন মুহাম্মদ শফিউল বশর
(বর্তমান প্রেক্ষাপটে অবধেয় ক’টি দিক)
সমূহ প্রশংসা প্রশস্তি আল্লাহরই জন্য। দুরূদ-সালাম আল্লাহর মাহবূব হুযূর করীম রউফুর রহীম সর্বসৃষ্টির মূল মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম’র প্রতি নিবেদিত। তাঁর পূতপবিত্র আল ও শুভ্রচিত্ত আসহাব সকলের তরেও সালাতুস সালামের অর্ঘ্য উৎসর্গিত।
‘ব-মুস্তফা বরসাঁ খেশরা কেহ দ্বীন হামা উস্ত;
আগার বাউ নরসীদি তামাম বূলাহবী আস্ত’।
‘নবীর সনে বাঁধ নিজে দ্বীন স্বয়ং তাঁর সত্ত্বা;
যদি না মজ তাঁর মাঝে সবই আবূলাহাবী ভূক্ত’।
(আরমগানে হিজায, ড. আল্লামা ইকবাল ৪৯ পৃষ্ঠা)
দরবার এ মুস্তফা (দ.)’র আদব রক্ষায় সর্বদা সজাগ থাকা আবশ্যক। এখানে ন্যূনতম অমনোযোগিতার পরিণতিও ভয়াবহ। কভুও যদি অশিষ্টতা প্রকাশ পায় তবে ঈমান-আমল সবই যাবে রসাতলে। মহাগ্রন্থ আল্ কুরআনের সূরা হুজুরাত’র ২নং আয়াত মর্মে বিঘোষিত, أَن تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
‘এতে তোমাদের আমলসমূহ তোমাদের অজান্তেই বিফলে যাবে’।
ওই মহান দরবারের আদব শেখার জন্য তাঁরই সাহচর্যধন্য সাহবায়ে কেরামের শিষ্টাচার পদ্ধতি নিরীক্ষণ জরুরি। এ আদবের উপমা জগতের কোন রাজদরবারে মিলেনা। যা অবলোকনে হুদায়বিয়ার সন্ধির আলোচনা কালে কুরাইশদের প্রতিনিধি ওরওয়াহ ইবনে মাসউদ (যিনি তখনও ঈমান আনেননি) যে মন্তব্য করেন তা একটু পর্যবেক্ষণ করুন।
ثُمَّ انَّ عُرْوَةَ جَعَلَ يَرْمُقُ أصْحَابَ النَّبيِّ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ بعَيْنَيْهِ، قالَ: فَوَاللَّهِ ما تَنَخَّمَ رَسولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ نُخَامَةً إلَّا وقَعَتْ في كَفِّ رَجُلٍ منهمْ، فَدَلَكَ بهَا وجْهَهُ وجِلْدَهُ، وإذَا أمَرَهُمُ ابْتَدَرُوا أمْرَهُ، وإذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ علَى وَضُوئِهِ، وإذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوا أصْوَاتَهُمْ عِنْدَهُ، وما يُحِدُّونَ إلَيْهِ النَّظَرَ تَعْظِيمًا له، فَرَجَعَ عُرْوَةُ إلى أصْحَابِهِ، فَقالَ: أيْ قَوْمِ، واللَّهِ لقَدْ وفَدْتُ علَى المُلُوكِ، ووَفَدْتُ علَى قَيْصَرَ، وكِسْرَى، والنَّجَاشِيِّ، واللَّهِ إنْ رَأَيْتُ مَلِكًا قَطُّ يُعَظِّمُهُ أصْحَابُهُ ما يُعَظِّمُ أصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ مُحَمَّدًا؛ واللَّهِ إنْ تَنَخَّمَ نُخَامَةً إلَّا وقَعَتْ في كَفِّ رَجُلٍ منهمْ، فَدَلَكَ بهَا وجْهَهُ وجِلْدَهُ، وإذَا أمَرَهُمُ ابْتَدَرُوا أمْرَهُ، وإذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ علَى وَضُوئِهِ، وإذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوا أصْوَاتَهُمْ عِنْدَهُ، وما يُحِدُّونَ إلَيْهِ النَّظَرَ تَعْظِيمًا له-
‘অতঃপর ওরওয়াহ গভীর দৃষ্টিতে রাসূলুল্লাহ (দ.)’র সাহবীদের পর্যবেক্ষণ করছিল। বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ (দ.) থুথু ফেল্লেই তা তাঁদের (সাহবীদের) কোন না কোন ব্যক্তির হস্ততালুতেই পড়ে; আর সে তা দ্বারা তাঁর মুখ ও শরীর মর্দন করেন। তিনি যখন তাঁদের (সাহবীদের) কোন কাজের আদেশ দেন, তা পালনে তারা দ্রুত ছুটে যান এবং তিনি যখন ওযু করেন তাঁর ওযুর অবশিষ্ট পানির কাড়াকাড়িতে যুদ্ধের উপক্রম হয়। আর তিনি যখন কথা বলেন তাঁরা তাঁর সমীপে তাঁদের স্বর নীচু করে নেন এবং তাঁর সম্মানে চোখ তুলে তাকান না। ওরওয়াহ (ওই অবস্থা প্রত্যক্ষ করে) তার সাথীদের নিকট প্রত্যাবর্তন করে বলল, হে লোকেরা। আল্লাহর শপথ! আমি (বহু) রাজা-বাদশাহ’র দরবারে গিয়েছি, আমি রোম সম্রাট, পারস্য সম্রাট ও আবিসিনিয়ার শাসনকর্তার দরবারেও গিয়েছি, আল্লাহর কসম! আমি কোন বাদশাহ’র মোসাহেবদের দেখিনি বাদশাহকে এত সম্মান করতে, যত সম্মান মুহাম্মদ (দ.)’র সাহবীগণ মুহাম্মদ (দ.)’কে করেন। আল্লাহর শপথ! তিনি থুথু ফেললেই তা তাঁদের (সাহবীদের) কারো না কারো হাতের তালুতেই পড়ে, আর সে ব্যক্তি তা দ্বারা তাঁর চেহরা ও শরীর মালিশ করেন। যদি তিনি তাঁদের আদেশ দেন, তাঁর আদেশ পালনে তাঁরা দ্রুত ছুটে যান। তিনি যখন ওযু করেন, তাঁর ওযুর অবশিষ্ট পানি নেওয়ার জন্য তাঁদের মাঝে যুদ্ধের উপক্রম হয়। তিনি যখন কথা বলেন, তাঁরা তাঁর প্রতি তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকান না’। (সহীহ বুখারী শরীফ ১ম খণ্ড, একাদশ পারা, কিতাবুশ শুরূতি, বাবুশ শুরূতি ফীল জিহাদি ওয়াল্ মুসা-লাহাতি মা‘আ আহলিল্ হারবি ওয়া কিতাবাতিশ্ শুরূতি মা‘আন্নাসি বিল্ কওলি-৩৭৯ পৃষ্ঠা, আল খাসায়িসুল কুবরা ১ম খণ্ড (উর্দু) ৪৫৩ পৃষ্ঠা, আসাহুস্ সিযর ১৭৩ পৃষ্ঠা ও সাহবাহ কা ইশকে রাসূল ২৭-২৮ পৃষ্ঠা)।
ওটি এমন এক স্থান, যেখানে দম নিতেও আঁতকে ওঠেন সুলতানুল আরেফীন বায়েযীদ বুস্তামী ও সাইয়্যেদুত ত্বায়িফাহ জুনায়্যিদ বাগদাদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা। কবি কতইনা সুন্দর বলেছেন,
‘আদব গাহাস্ত যেরে আসমাঁ আয্ আর্শ নাযুকতর;
কেহ নফস গুম করদাহ মী আয়দ জুনাইয়িদ বায়েযীদ ইঁ জা’।
অর্থাৎ ‘আকাশের নীচে আর্শ অপেক্ষাও সূক্ষ্মতর আদবের স্থান (দরবারে মুস্তফা)। এখানে বায়েযীদ ও জুনায়্যিদ শ্বাস হারিয়ে আসেন; অর্থাৎ শব্দ করে দম নেয়না’।
বিষয় বস্তুর অনুকূলে প্রতিটি দিকের আলোচনা এ ক্ষুদ্র পরিসরে সম্ভব নয়। বাংলা ভাষায় এ বিষয়ক রচনাবলীও ঢের রয়েছে বিধায় ব্যাপকতা পরিহার পূর্বক সময়ের চাহিদা মতো বিশেষ ক’টি দিকেই মনোনিবেশ করছি। এ প্রাসঙ্গিকতায় সূরা আননূর’র ৬৩নং আয়াতের উল্লেখ সঙ্গত মনে করি।
لاتَجْعَلُوا دُعَاء الرَّسُولِ بَيْنَكُمْ كَدُعَاء بَعْضِكُم بَعْضًا قَدْ يَعْلَمُ اللَّهُ الَّذِينَ يَتَسَلَّلُونَ مِنكُمْ لِوَاذًا فَلْيَحْذَرِ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَن تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
‘রাসূলের আহ্বান তথা রাসূলের ডাক কিংবা রাসূলকে আহ্বান করা, রাসূলের দু’আ অথবা রাসূলের জন্য দু’আকে তোমাদের পরস্পরের আহ্বান ও দু’আর মতো স্থির করোনা। নিশ্চয় আল্লাহ কারো আড়ালে চুপে চুপে বহির্গামীদের বিষয়ে অবগত। সুতরাং রাসূলের নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণকারীদের ভয় করা উচিৎ যে, কোন বিপর্যয় (পার্থিব জগতে) তাদের পেয়ে বসবে অথবা বেদনাদায়ক শাস্তি (পরকালে) তাদের ওপর আপতিত হবে’।
নমস্য পাঠক “দু’আউর রাসূল” ছোট্ট শব্দ দু’টো রাসূলের পক্ষ থেকে আহ্বান, রাসূলকে আহ্বান, রাসূলের দু’আ ও রাসূলের জন্য দু’আ-এ চারটি অর্থ অন্তর্ভূক্তকারী। এটি আমার মুখের বুলি মাত্র নয় বরং বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য গ্রন্থের বিবৃতিতে আলোচিত। নিম্নে তা পর্যায়ক্রমিক ভাবে উপস্থাপিত হল।
(ক) প্রথম অর্থে আয়াতের মর্মার্থ:
لا تقيسوا دعاءه إياكم على دعاء بعضكم بعضا في جواز الإعراض والمساهلة في الإجابة والرجوع بغير إذن –

‘বিনা-অনুমতিতে প্রত্যাবর্তন এবং সাড়া দানে ঢিল ও অগ্রাহ্য বৈধতায় তোমাদের পরস্পরের আহ্বানের ওপর তোমাদেরকে তাঁর (রাসূলুল্লাহর) আহ্বানকে অনুমান করোনা’। (আত্তাফ্সীরাতুল্ আহমদীয়্যাহ ফী বয়া-নিল্ আয়াতিশ শরঈয়্যাহ্ মা’আ তফরী ‘আতিল মসা-য়িলিল ফিক্হীয়্যাহ, শায়খ আহমদ মোল্লা জীওয়ান ৩৮৫ পৃষ্ঠা) অর্থাৎ পরস্পরের আহ্বানের ক্ষেত্রে সাড়া দেওয়া- না দেওয়া কিংবা বিলম্বে উপস্থিত ও বিনা-অনুমতিতে প্রস্থানের যে অবকাশ রয়েছে, আল্লাহর রাসূলের আহ্বানের ক্ষেত্রে সে ইখতিয়ার নেই; বরং আহ্বান মাত্রই সাড়া দেওয়া ফরয। আল কুরআনের অন্য আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে,

ياأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اسْتَجِيبُواْ لِلّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُم لِمَا يُحْيِيكُمْ
‘হে মু’মিনগণ! আল্লাহ ও রাসূল (দ.)’র আহ্বানে হাজির হও, রাসূল যখন তোমাদের কে সে বস্তুর জন্য আহ্বান করেন, যা তোমাদেরকে জীবন দান করবে’। সূরা আনফাল ২৪ নং আয়াত সংক্ষেপিত। উল্লেখ্য যে, আল্লাহ তা’আলা এ আয়াতে দু’জন তথা আল্লাহ ও রাসূলের ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বলেছেন। অধিকন্তু স্পষ্ট যে, বিনা মাধ্যমে আল্লাহর আহ্বান আসে না। অতএব সুস্পষ্ট যে, রাসূল (দ.)ই আহ্বান করবেন এবং তাঁর আহ্বানই আল্লাহর আহ্বান। এজন্যই একটু পরে ‘ইযা দা’আকুম’ যখন ‘তোমাদেরকে আহ্বান করে’ একবচন এনে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বুখারী শরীফ কিতাবুত তাফসীরে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বিবৃত,
عن أبي سعيد بن المعلى قال كنت أصلي فمر بي رسول الله صلى الله عليه وسلم فدعاني فلم آته حتى صليت ثم أتيته فقال ما منعك أن تأتي فقال إني كنت أصلي قال ألم يقل الله تبارك وتعالى يا أيها الذين آمنوا استجيبوا لله وللرسول إذا دعاكم لما يحييكم
‘আবূ সাঈদ বিন মুয়াল্লা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি নামায পড়তেছিলাম। এমতাবস্থায় আমার পাশ দিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (দ.) গেলেন। তিনি (দ.) আমাকে আহ্বান করলেন। আমি তাঁর নিকট আসিনি, যাবৎ না নামায সমাপন করলাম। অতঃপর তাঁর খেদমতে উপস্থিত হই। তিনি (দ.) বললেন, তোমাকে আসতে বাঁধা দিয়েছে কিসে? আল্লাহ্ কি বলেননি যে, আল্লাহ্ ও রাসূলের আহ্বানে হাজির হও, যখন তিনি (দ.) ডাকবেন’। (বুখারী শরীফ ২য় খণ্ড, ৬৬৯ ও ৬৮৩ পৃষ্ঠা, মকতবায়ে মুস্তফায়ীয়া, দেওবন্দ, ইউপি-ইন্ডিয়া) উক্ত হাদীসে টীকায় রয়েছে, ‘তোমাকে আসতে বাঁধা দিয়েছে কিসে’? এর স্থলে আবূযর, ওসাইলী ও ইবনু আসাকি’র বর্ণনায়, ‘তোমাকে আমার নিকট আসতে বাঁধা দিয়েছে কিসে’? এবং শুরুতে ‘অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি নামায পড়তেছিলাম’ অতিরিক্ত রয়েছে। ‘অতঃপর নবী করীম (দ.) বললেন, আল্লাহ কি বলেননি?’ থেকে শেষ পর্যন্ত বুখারীর বর্ণনার অনুরূপ। অনেক ফুকাহা বলেন, ‘নবী (দ.)’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে খেদমতে উপস্থিত হলে নামায ভঙ্গ হবে না। কেননা, তাঁর (দ.) আহ্বানে সাড়া দেওয়াই নামায। হাদীসের বিবৃতিও এটি প্রমাণ করে’। (কাস্তালানী)।
উক্ত আলোচনা হতে প্রতীয়মান হয় যে, নবী (দ.)’র আহ্বান আসা মাত্রই সাড়া দিতে হবে। আহুত ব্যক্তি যে অবস্থায় থাকুক না কেন? সাড়া দেওয়া অপরিহার্য। নামাযী নামায রেখে খেদমতে উপস্থিত হয়ে ফরমায়েশ আঞ্জাম দেবে; এতে নামায ভঙ্গ হবে না। কেনইবা নামায ভঙ্গ হবে? সে নামাযী কথা বলেছেতো কার সাথে বলেছে? তাঁরই সাথে বলেছে, যাকে নামাযে সালাম দেওয়া ওয়াজিব। তাশাহুদে রয়েছে “হে নবী (দ.) আপনার উপর সালাম”। কিন্তু অন্য কাউকে সালাম দিলে নামায ভঙ্গ হয়। কাবার দিক হতে বক্ষ ফিরিয়েছেতো কোন দিকে ফিরিয়েছে? তাঁরই পানে ফিরিয়েছে, যিনি কাবার ক্বিবলা। বাহরুল উলূম আল্লামা আবূল বরাকাত আব্দুল গণি কাঞ্চনপুরী (রা.) বলেন,
‘মক্কা মদিনা কো কিয়া খোদা তা‘আলার পূজস্থান,
সব কিবলো কা ক্বিবলা হো তুম পিয়ারে জানি মুহাম্মদ’।
সে গমন করেছেতো, কোন দিকে করেছে? বারগাহে মুস্তফার দিকেই; যা আইনে ইবাদত। কবি বলেন,
‘রিয়াযত নাম হ্যায় তেরী গলী মে আনে জানে কা
তাসাওউর ম্যাঁ তেরী রহনা ইবাদত উসকো কেহতে হ্যায়ঁ।
‘তোমার গলিতে আসা-যাওয়ার নাম রিয়াযত হয়;
ধ্যানে তোমার বিভোর থাকা ইবাদত ওটাকে বলা হয়’।
নামাযীর ওযূ টুটে গেলে পানির দিকে গমন তার জন্য বৈধ। এতে কাবার দিক হতে বক্ষ ফিরে গেলে কিংবা অতিরিক্ত কাজ করলেও নামাযে মশগুল মর্মে গণ্য। আর হুযূরে আন্ওয়ার (দ.) তো আল্লাহর দয়ার সাগর। কুরআনে পাকের ঘোষণা,
وما ارسلناك إلا رحمة للعالمين
‘হে রাসূল (দ.) আমি আপনাকে সমগ্র জগতের রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি’। সুতরাং তার দিকে গমন করলে নামায ফাসেদ হবে কেন? বরং সে নামাযে নিয়োজিত হিসাবেই গণ্য হবে। বাকী নামায উক্ত নিয়্যতের উপরই আদায় করতে পারবে। না নূতন করে নিয়্যত করতে হবে? না শুরু থেকে আবার পড়তে হবে?

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *