কুকুর সম্পর্কে টুকিটাকি তথ্য ও তত্ত্ব

কুকুর সম্পর্কে টুকিটাকি তথ্য ও তত্ত্ব

গ্রন্থণা: মাওলানা আবূ আলম সিদ্দিক্বী
🔹 একটি কুকুরের সমাধিতে সৌধ নির্মাণ: 
হযরত ঈসা (আ.) আসমানে উত্তোলিত হওয়ার পর ‘ইনজীল’-এর অনুসারীগণ পথভ্রষ্ট হয়ে মূর্তিপূজায় নিমগ্ন হয় এবং অন্যদের বাধ্য করতে শুরু করে। তাদের মধ্যে ‘দাক্বইয়ানুস’ নামক মারাত্মক অত্যাচারী এক বাদশাহ ছিল। সে মূর্তিপূজায় অস্বীকৃতদেরকে হত্যা করত। আফসােস! শহরের অভিজাত কতেক মু’মিন বাদশাহ’র অত্যাচারের ভয়ে ‘ঈমান’ রক্ষার তাগিদে পার্শ্ববর্তী ‘রাক্বীম’ উপত্যাকায় গুহায় আশ্রয় নেয়। তাদের সাথে একটি কুকুরও ছিল। কুকুরটির নাম ‘ক্বিতমীর’। মহাগ্রন্থ আলকুরআনের পনের পারায় আটার নম্বর সূরায় ‘আসহাবে কাহফ’ বা গুহাবাসীদের কাহিনী সবিস্তারে বর্ণিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে উক্ত সূরা ‘কাহফ’ নামেই নামকরণকৃত। এ সূরার আটার নম্বর আয়াতে আসহাবে কাহফের কুকুৱটি সম্পর্কে বিবৃত, ‘এবং তাদের কুকুর গুহাদ্বারে চৌকাঠের ওপর আপন সম্মুখের পা দু’টি প্রসারিত করে আছে’। শাহখ সা’দী (রা.) সঙ্গ-সাহচর্য সম্পর্কে আলােচনা করতে গিয়ে বলেন, “আসহাবে কাহফের কুকুর বেশ কিছুদিন পুণ্যবানদের পদস্পর্শে থেকে মানুষে পরিণত হয়েছে’’।
আমাদের নিবন্ধে আলােচিত কুকুরটি আসহাবে কাহফ বা ঈসা (আ.)’র উম্মতের অলিয়ুল্লাহর পদস্পর্শধন্য কুকুর ‘ক্বিতমীর’ নয়; বরং অন্য একটি কুকুর। এ কুকুরটি উম্মতে মুহাম্মদীর এক প্রসিদ্ধ অলিয়ুল্লাহর টুকু দয়াদৃষ্টিধন্য। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, একদা হযরত নজমুদ্দীন কুবরা (রা.)’র মজলিসে আসহাবে কাহফ সম্পর্কে আলােচনা চলছিল। এমতাবস্থায় তার মুরীদ শায়খ সা’দ উদ্দীন হুমুবভী (কু.)’র মনে ভাবোদয় হল যে, ‘এ উম্মতে এমন কোন সত্তা আছে কি, যার সঙ্গ-সাহচর্য কুকুরের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে’? শায়খ নজমুদ্দীন কুবরা (রা.) আপন দিব্যদৃষ্টিতে মুরীদের মনের ভাষা বুঝে গেলেন। অতএব তিনি বসা থেকে ওঠলেন এবং খানক্বাহ’র দ্বারে গিয়ে দাঁড়ালেন। দৈবক্রমে তখন একটি কুকুর লেজ নাড়তে নাড়তে এসে পড়ল।
হযরত শায়খ (রা.) কুকুরটির প্রতি দয়ার দৃষ্টিতে তাকালেন। এতে কুকুরটি দিশেহারাল। অতঃপর বসতি ছেড়ে মাটিতে মাথা ঘষতে-ঘষতে কবরস্থানের দিকে চলে গেল। কুকুরটির চতুর্দিক ঘিরে প্রায় ৫০-৬০টি কুকুর বিনীত-বিনম্র বসে থাকত, কোনটিই ঘেউ ঘেউ ডাকতনা এবং কোনকিছু খেতনা। অতপর কুকুরটি মারা গেলে হযরত শায়খ (রা.) ওটাকে দাফন করতঃ সমাধিতে সৌধ নির্মাণের নির্দেশ দিলেন। সুতরাং তারা তা-ই করলেন। (সূত্রঃ নফহাতুল উনস, ২য় খণ্ড ৫৭৫ পৃষ্ঠা)।
🔸 কুকুরের প্রতি সুলতানুল আরেফীন বায়েযীদ বুস্তামী (রা.)’র সদাচার:
এক.একদা হযরত বায়েযীদ কতিপয় শিষ্যসহ একটি সরুপথ অতিক্রম করছিলেন। হঠাৎ বিপরীত দিকে থেকে একটি কুকুর তাঁদের দিকে আসছিল। হযরত বায়েযীদ শিষ্যসহ রাস্তার এক পাশে সরে গেলেন এবং কুকুরটি নির্বিঘ্নে  চলে গেল। ঘটনা অবলোকনে মুরিদগণ বললেন, হুযুর! আল্লাহ তা’আলা মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব আর কুকুরকে নিকৃষ্ট জীব রূপে সৃজন করেছেন, তা সত্ত্বেও আপনি কুকুরটিকে পথ ছেড়ে দিয়ে রাস্তার এক পার্শ্বে চলে গেলেন! এর গূঢ় রহস্য কি? হযরত বায়েযীদ বললেন, কুকুরটি আমার নিকট প্রশ্ন করল যে, হুযূর আজলের দিন আমাকে কুকুর এবং আপনাকে শ্রেষ্ঠ অলী রূপে কেন নির্দিষ্ট করা হল, আমার এমনকি অপরাধ ছিল এবং আপনারই বা কি এমন পুণ্য ছিল; যার ফলে এরূপ তারতম্য হল? এ প্রশ্নের কারণে সদাচার প্রদর্শনের জন্য আমি ওকে পথ ছেড়ে দিয়েছি।
দুই.আর একদিন হযরত বায়েযীদ (রা.) পথ চলছিলেন, হঠাৎ পাশ দিয়ে একটি কুকুর রাস্তা পার হতে দেখে তিনি তাঁর কাপড়ের আচল সরিয়ে নিলেন। কুকুরটি বলল, হুযূর! আপনি এ রূপ করলেন কেন?  আমার দেহ শুষ্ক হলে তাে নাপাক নয়, আর ভিজা হলে তাতে আপনার কাপড় সংস্পর্শিত হলেও আপনি পানি দিয়ে তা ধুয়ে পাক করে নিতে পারতেন; কিন্তু আপনি যা করলেন তা নিছক্ত অহংকার ছাড়া আর কিছু নয়। এ অহংকার রূপ অপবিত্রতা সাত সমুদ্র তের নদীর পানি নিয়ে পরিস্কার করলেও তা কখনও পবিত্র হবেনা।
হযরত বায়েযীদ (রহ.) বললেন, কুকুর! তুমি সত্য কথাই বলেছ। তােমার অপবিত্রতা বাইরে আর আমার অপবিত্রতা অভ্যন্তরে। অতএব, আস আমরা একত্রে অবস্থান করি, তাতে আমার অপবিত্রতা কিছুটা দূরীভূত হতে পারে।
জবাবে কুকুর বলল, হুযূর তা হতে পারে না। যেহেতু আমি আল্লাহর বিতাড়িত ও ঘৃণিত জীব আর আপনি তাঁর মক্ববুল বান্দা। দ্বিতীয়ত: আমি বর্তমান ছাড়া অন্য দিনের জন্য একখানা হাড্ডিও জমা করিনা; কিন্তু মানুষ সারা বছরের খাবার সংগ্রহ করে রাখে। আমাদের উভয়ের এ চারিত্রিক ব্যবধান।
হযরত বায়েযীদ (রহঃ) বললেন, হায়! আফসোস! যখন আমি একটি কুকুরের সাহচর্যে থাকারও উপযুক্ত নই, তখন মহান আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য লাভের যােগ্য কি করে হতে পারি? প্রশংসা সে মহান আল্লাহর যার সৃষ্টি এক নিকৃষ্টজীব থেকে মানুষেরও শিক্ষা পেতে হয়। (তথ্যসূত্র : তাযকিরাতুল আওলিয়া)।
🔹গাউসুল আ’যম জিলানী (রাদ্বি.)’র কুকুর কর্তৃক বাঘ বধ:
বর্ণিত যে, হযরত শায়খ আহমদ (রহ.) জিন্দা বাঘের উপর চড়ে আউলিয়াদের নিকট গিয়ে অতিথি হতেন। আপ্যায়নকারী গৃহস্থকে তাঁর বাঘের খােরাক স্বরূপ একটি গরু দিতে হতাে। একদা তিনি বাগদাদ আসলেন এবং হযরত গাউসুল আ’যমের নিকট সংবাদ পৌঁছালেন যে, আমার বাঘের জন্য একটি গরু প্রেরণ করুন।
হুযূর গাউছে পাক (রা.) ভৃত্যকে নির্দেশ দিলেন, একটি পরু পৌঁছে দিতে। খাদেম গরু নিয়ে যাত্রা দিলেন। গাউসে পাকের দরজায় একটি লােমহীন শীর্ণ কুকুর থাকতাে, সেটিও গরুর পিছু নিল। গরুটি বাঘের নিকট পৌঁছে দেওয়া হলে শায়খ আহমদ ইশারা করে বললেন, এটি তােমার খােরাক। ইশারা পেয়ে বাঘটি যখন চড়াও হলাে তখন ঐ শীর্ণ কুকুর বিদ্যুৎগতিতে হামলা করে বাঘের ভুড়ি বের করে ফেলল। এতে বাঘটি মারা গেল। উক্ত শায়খ আহমদ (রহ.) বুঝতে পেরে তৎক্ষণাৎ গাউছে পাকের খেদমতে উপস্থিত হয়ে নিজের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হলেন এবং হস্তচুম্বন করলেন। এ বিষয়ে কবি কতই না সুন্দর বলছেন:
সগে দরগাহে জিলাঁ শূ চূ খাহী কুরবে রব্বানী;
কেহ বর শেরাঁ শরফ দারদ সগে দরগাহে জিলানী।
অর্থাৎ ‘তুমি যদি আল্লাহর নৈকট্য প্রত্যাশী হও তবে শাহে জিলানী (রাদ্বি.) এর দরবারের কুকুর হয়ে যাও; কেননা এ দরবারের কুকুর বাঘের চেয়ে সম্মানিত’। (মাযহারে জমালে মুস্তাফায়ী- ২৯৬ পৃষ্ঠা)।
🔸 গাউসে যমান ফরহাদাবাদী (রাদ্বি.)’র কুকুরের মনিব-বিরহে প্রাণত্যাগ:
আমার পীর-মুর্শিদ গাউসে যমান ফরহাদাবাদী (রাদ্বি.)’র খলিফা হন। তাঁর দরবারে ফরহাদাবাদী (রা.)’র ভক্ত-শিষ্যদের অনেকের যাতায়াত ছিল। এ সুবাদে ফরহাদাবাদী (রা.)’র অনেক ভক্ত শিষ্যের সাথে আমার পরিচয় ঘটে। তম্মধ্যে ফরহাদাবাদী (রা.)’র এক বিশিষ্ট মুরীদ ছিলেন, আহমদ ফকীর (রহ.)। তিনি বর্ণনা করেন, “গাউসে যমান ফরহাদাবাদী (রা.)’র একটি কুকুর ছিল। ফরহাদাবাদী (রা.)’র ইন্তেকালের পর কুকুরটি পানাহার ছেড়ে সামনের দু’পা প্রসারিত করে মাযার শরীফের মাঠে বসে থাকত আর তার দু’চোখেঅশ্রুর ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হতে রইল। এ ভাবে তিন দিন অতিক্রান্তে চতুর্থ দিন চাহার শরীফের দিবসে মনিব-বিরহে কুকুরটি মারা যায়। আমি নিজ হস্তেই কুকুরটি দাফন করি”।
🔹মাইজভান্ডার দরবার শরীফের কুকুরও বাছা খায় :
ঊনবিংশতি শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে আমি আমার পীর-মুর্শিদের মেজো শাহযাদার সাথে মাইজভাণ্ডার শরীফ গমন করি। যিয়ারত শেষে ফেরার সময় একটি কুকুর মেজো শাহযাদার পথ আগলে ধরে। এতে এক দোকানি শাহযাদাকে বললেন, আপনার কাছ থেকে কিছু খেতে চায়। শাহযাদা আমাকে কিছু কিনে দিতে বললে দোকানি বলেন, যাদের ধরে তারা ছাড়া অন্যের দেওয়া কিছু খায়না। তবুও শাহযাদা আমাকেই দিতে বললেন এবং আমি দিলাম, কিন্তু কুকুরটি স্পর্শই করলনা। অতঃপর শাহাযাদা নিজ হাতে দিলে কুকুরটি খেয়ে বিদায় হল। পরে একদিন প্রথমে নিজে না দিয়ে আমাকে দিতে বলার কারণ প্রসঙ্গে মেজো শাহযাদা বলেন, আসলে দোকানির কথার সত্যতা যাচাই করাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। অতঃপর মন্তব্য করলেন, মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের কুকুরও ভাল-মন্দ বেছে খাওয়ার সমঝ লাভ করে আর মানুষ আজ হালাল-হারাম তারতম্য করছেনা!
বাহরুল উলূম আল্লামা কাঞ্চনপুরী (রা.) যথার্থই বলেছেন,
“সগে দরবারে পাকে মাইজভাণ্ডারী শূ আয় দিল,
কেহ্ শরফে হাম ইঁ নিসবত শুদ কুরবে খােদা হাসিল”।
অর্থাৎ “হে অন্তর। গাউছুল আ’যম মাইজভাণ্ডারীর দরবারের কুকুর হও; এ সম্পর্কের মর্যাদায় আল্লাহর নৈকট্য অর্জিত হবে”।
🔸 কুকুরের প্রভু ভক্তি : 
এক. হারিস বিন সা’সা’হর কতেক মােসাহেব ছিল। অত্যাধিক ভালবাসার কারণে তার সাথে সার্বক্ষণিক থাকত। একদা সে আপন মােসাহেব বেষ্টিতাবস্থায় ভ্রমণে বের হল; কিন্তু মােসাহেবেদের একজন সঙ্গে গেলনা। হারিসের অনুপস্থিতিতে সে তার স্ত্রীর ঘরে আসল এবং উভয়ে এক সাথে ভোজন সেরে একই বিছানায় শুয়ে পড়ল। মনিবের স্ত্রী ও বন্ধুর বিশ্বাস-ঘাতকতায় ক্ষীপ্ত হয়ে পোষা কুকুরটি উভয়কে বধ করল। হারিস ঘরে ফিরে এ অবস্থা দেখে ঘটনা বুঝতে পেরে এ পঙক্তি কয়টি আবৃত্তি করল,
“সর্বদা দেয় পাহারা মম জামানত, চতুষ্পার্শে মাের করে ঘুর-ঘুর ।
রক্ষা করে আমরই বাসর, ধােকাবাজী করে যখন বন্ধু ইতর,
আজব বন্ধুত্ব ইজ্জত লুণ্ঠনে মাের, কাম-খেলিতে মগ্ন বন্ধু-কামাতুর,
শত আশ্চর্য! ধন্য পােষ্য কুকুর, অপূর্ব কৌশলে রক্ষে সম্ভ্রম মাের”। 
(তথ্য সূত্র: রূহুলবায়ন)।
দুই.স্পেন নগরীতে এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তিকে হত্যা করে কূপে ফেলে দেয়। নিহতের পােষা কুকুর তা দেখে কূপের পাড়ে এসে মাটি সরাতে থাকে এবং কুপের দিকে ইঙ্গিত করে। হত্যাকারী দেখে কুকুরটিকে সরিয়ে দেয়; কিন্তু কুকুরটি পুনঃরায় এসে পূর্বের ন্যায় মাটি সরাতে থাকে। এভাবে বার কয়েক ঘটার পর মানুষ কৌতুহল বশতঃ কূপটি খনন করে নিহতের লাশ পায়। তখন সন্দেহ বশতঃ উক্ত লােকটিকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। (সূত্র: আজায়েবুল মাখলুকাতের উদ্ধৃতিতে বহুলবায়ন)।
🔹কুকুর থেকে শিক্ষণীয়:
হযরত হাসান বসরী (র.) বলেন, কুকুরের মধ্যে এমন দশটি বৈশিষ্ট্য আছে; যা প্রত্যেক মু’মিনের থাকা উচিৎ। 
প্রথম: ক্ষুধার্ত থাকা; এটা পুণ্যবানদের অভ্যাস। 
দ্বিতীয় : নির্দিষ্ট কোন ঘর না থাকা; এটা আল্লাহর উপর ভরসাকারীদের নিদর্শন। 
তৃতীয়: নিশিতে স্বল্প সময়ের জন্য নিদ্রা যাওয়া; এটা খােদা প্রেমিকদের বৈশিষ্ট্য। 
চতুর্থ: মৃত্যুকালে উত্তরাধিকার সত্ত্ব না রাখা; এটা আল্লাহর ইবাদতের নিমিত্তে দুনিয়া ত্যাগকারীদের নিদর্শন। 
পঞ্চম: সে মালিককে ছেড়ে যায়না, যদিওবা মালিক মার-ধর করে; এটা নিষ্ঠাবান মুরিদের বৈশিষ্ট্য। 
ষষ্ঠ: পৃথিবীর ময়দানে সামন্যতম যায়গা পেয়ে সে তুষ্ট থাকে; এটা বিনয়ীদের নিদর্শন। 
সপ্তম: যদি কেউ তার বাসস্থান দখল করে নেয়, তবে সে তা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়; এটা প্রভু সন্তুষ্টিতে তুষ্টদের বৈশিষ্ট্য।
অষ্টম :মারধর ও অন্যান্য কষ্ট দেওয়ার পরও টুকু সহানুভূতিতে সাড়া দেয় এবং অতীতের জন্য কোন প্রকার আক্ষেপ রাখেনা; এটা খােদাভীরুদের চিহ্ন।
নবম: যখন খাদ্য উপস্থিত হয় সে দূরে বসে দেখে; এটা মিসকিন বা নিঃস্বদের নিদর্শন। 
দশম: সে যখন কোন স্থান পরিত্যাগ করে চলে যায় তখন তদপ্রতি পুনঃরায় দৃষ্টিপাত করেনা; এটা স্বচ্ছল ব্যক্তি অথবা খোদাপথযাত্রীদের আলামত। (তথ্যসূত্র: রওদুর রিয়াহীনের উদ্ধৃতিতে রূহুলবায়ন)।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *