ফুলে ফুলে ফুলন্ত গাউসে আ’যম মাইজভাণ্ডারীর ফুল বাগান

আল্লামা বোরহান উদ্দিন মুহাম্মদ শফিউল বশর     

“গাউসে ধনের প্রেম বাগানে নিরঞ্জনের কৃপাগুণে,
প্রেমের বসন্ত ঋতু আসিলরে।”

ঋতুরাজ বসন্তের ছোঁয়ায় প্রকৃতি যেমন ফুলে-ফলে-ঘ্রাণে ভরে ওঠে, অনুরূপ হযরত গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র শুভ আগমনে সৃষ্টির সর্বত্র প্রেমের বান ডেকেছে। ধরণী ও গগণে বাজছে তার প্রেমের জয় ঢংকা। এ জয়ধ্বনি কুরআন-এ করীমের সূরা বাকারার ১৮ নং আয়াত মর্মে বধির’ জনদের কর্ণে প্রবেশ করুক বা না করুক। আরিফ কবি মক্ববূলের ভাষায়-
“জমিনে আদম কুলে, আর্শয়ে ফেরেস্তা দলে, মারহাবা মারহাবা ধ্বনি পড়িলরে।
খােদা ও মােস্তাফা বলে, মকবুল অধমে বলে,ছল্লে আলা এ কি বাহার হইলরে।”
ইমামুল আউলিয়া হযরত গাউসুল আ’যম শাহ্সূফী সৈয়্যদ আহমদুল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র নূরানী পরশে পরশমণিরূপ অসংখ্য আউলিয়া সৃষ্টি হয়েছেন। স্বয়ং হযরত গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র ভাষায়- “আমার এক লক্ষ চব্বিশ হাজার ফিরিশতা আছে।”  হযরত গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র উক্ত অমৃত বাণীর ব্যাখ্যায় বাহরুল উলূম আল্লামা আবূল বরাকাত আব্দুল গনি কাঞ্চনপূরী (রাদ্বি.) লিখেছেন, “আম্বিয়া (আ.)’র সমসংখ্যক সংখ্যা উল্লেখে এ ইঙ্গিত রয়েছে যে, আমার রূহানী ফয়যে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার জন মানবীয় কদর্যতা ও নফসানী পঙ্কিলতা মুক্ত হয়ে নূরানী-রূহানী পবিত্র অবয়ব লাভে ধন্য হয়েছে। এ বিষয়টির সম্পাদন ব্যক্তে হােক বা গুপ্তে। (প্রত্যেক নবীর নাম-পরিচয় কুরআন ও হাদীসে বিবৃত হয়নি বলে তাদের অস্তিত্ব অস্বীকারের যেমন জো নেই, অনুরূপ গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র সংস্পর্শধন্য বিপুল সংখ্যক অলিদের নাম-পরিচয় আমাদের অজ্ঞাত বলে উক্ত সংখ্যার ক্ষেত্রেও সন্দেহের অবকাশ নেই।) উক্ত এক লক্ষ চব্বিশ হাজার অলির সকলই বিলায়তে ওজমার পদমর্যাদায় উপনীত হয়ে জগতের পথপ্রদর্শক ও ফয়যপ্রদ হয়েছেন; যেমনি নবীগণ জগতের পথপ্রদর্শক ও ফয়যদাতা। অর্থাৎ তাদের প্রত্যেক অলি এক-একজন নবীর প্রতিনিধি এবং এক একজন অলির বিলায়ত এক একজন নবীর নবুয়তের অধীনস্থ। (সূত্র: আঈনা-এ বারী ফী তরজুমাতি গাউসিল্লাহিল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.), প্রথম প্রকাশ, ১৫০ পৃষ্ঠা)। 
কাঞ্চনপূরী (রদ্বি.)’র উক্ত ব্যাখ্যার যথার্থতা নিম্নোক্ত হাদীসে পাকের আলােকে প্রমাণিত। 
হযরত আনাস (রাদ্বি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা ইরশাদ ফরমান, এমন কোন নবী নেই, যার নমুনা আমার উম্মতে নেই। অতএব, আবু বকর (রাদ্বি.) ইব্রাহীম (আ.)’র, ওমর (রাদ্বি.) মূসা (আ.)’র, ওসমান (রাদ্বি.) হারূন (আ.)’র, আলী (রাদ্বি.) আমার (মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লামা’র) নমুনা এবং যে মরিয়ম তনয় ঈসা (আ.)কে দেখে উৎফুল্ল হতে চায়, সে যেন আবু যর (রাদ্বি.)কে দেখে। (আল খসায়িসুল কুবরা, ২য় খণ্ড, ২৬৭ পৃষ্ঠা)।
আঈনা-এ বারী শরীফের উক্ত বর্ণনা আলােকে গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র খলিফাগণের শান-মানের সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। বাগে আহমদীর পুষ্প সদৃশ খলিফাগণ জগতের আনাচে-কানাচে প্রাণের সাড়া জাগিয়েছেন । কবির ভাষায়-
‘ফুলের সুগন্ধি এল মুর্দা দিল যিন্দা হল + অমর নগর পন্থ খুলিলরে’।
অভক্তি-অশ্রদ্ধার সর্দিতে কারাে ঘ্রাণেন্দ্রিয় বিকল হলে সে পুস্প-সুগন্ধি না পাওয়াই স্বাভাবিক; এতে ফুলের কিন্তু কিছু যায় আসেনা। তদুপরি ফুলের সুবাসতাে আর বােলতা-ভিমরুলকে বিমােহিত করবেনা, বরং অলি-বুলবুলই বিভাের হয়ে তান ধরবে । কবির ভাষায়-
‘ফুটছে নূরী গােলাপ ফুল, জুটছে নানা অলিকুল
বুলবুল দল প্রেম রােলে গাহিলরে’।
ওই বাগানের গােলে গােলাব (গােলাপ ফুল) কুত্ববুল আক্বতাব হযরত শাহসূফী সৈয়দ গােলামুর রহমান (রাদ্বি.)’র সুবাসে বিমােহিত হয়ে গাযীয়ে মিল্লাত আল্লামা সৈয়্যদ আযীযুল হক শেরে বাংলা (রাদ্বি.) লিখেছেন,
“বা-খিত্বাবে বাবাজান কিবলা শুদাহ মাশহু-র দাঁ-,
উ-গুলে-আয্ বা-গে আঁ- শাহ্ আহমদুল্লাহ বে-গুমাঁ-
বু-য়ে আঁ- গুল্ করদাহ্ শায়দা- সা-য়েরে- আহলে জাহাঁ,
গশত মাইজভাণ্ডা-র আয্ আঁ-জা- সাজদাহ্গা-হে ‘আশিক্বাঁ-’
‘বাবাজান ক্বিবলা খেতাবে প্রসিদ্ধ হলেন জানরে,
নিশ্চয় সে শাহ্ আহমদুল্লাহর বাগানের এক ফুলরে।
ঐ ফুল-সুবাস করল বিভাের জগতবাসী সকলেরে,
আশেকদের সিজদাস্থল হতে একটি হলাে মাইজভাণ্ডারে।”
গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র অগণিত খলিফাদের সকলের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা জ্ঞাপনপূর্বক এখানে শুধু একজনের একটি ঘটনার উল্লেখ করছি, যাতে পাঠকবৃন্দ অন্যান্যদের মর্যাদা অনুধাবনেও সমর্থ হবেন । ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, হযরত গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র বিলায়ত প্রচারের প্রথম দিকে এক রাতে তিনি তাঁর প্রতিবেশি মুয়াযযিন সা’আদ উল্লাহকে একটি পাকা কলা খেতে বলেন। মুয়াযযিন সাহেব কাশির অজুহাতে শীতের রাতে কলা খেতে অস্বীকৃত হলে হযরত এখানে কে আছে বলে আওয়াজ দেন। শুনে জাফর আলী করজোড়ে দাঁড়িয়ে বললেন, হুযূর! বান্দা জাফর আলী আছি’ । হযরত (রাদ্বি.) সা’আদ উল্লাহকে পুনরায় বললেন, দেখুন এ কলাটি আপনার জন্য রেখেছিলাম, এখন জাফর আলী চাচ্ছে, তাকে দেব কি? মুয়াযযিন সাহেব ঠাণ্ডার সময় কলা খেতে পারবেনা মর্মে অক্ষমতা প্রকাশপূর্বক দিয়ে দিতে বললেন। হযরত গাউসে পাক (রাদ্বি.) কলাটি জাফর আলীকে দিলে, তা খাওয়া মাত্র তাঁর হাল ও জযবা গালেব হয়। তিনি সারারাত অত্যধিক মস্তি ও জযবা হালে বকাবকি করতে থাকেন এবং সকাল হতেই আগত হাজতী-মকছুদীগণের হাজত সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করতে শুরু করেন। একজন লােক অসুস্থ সন্তানের রােগ মুক্তির প্রার্থনা নিয়ে হযরতের খিদমতে এলে জাফর আলী তাকে তার সন্তানের মৃত্যু সংবাদ দেন। এতে লােকটি সক্রন্দনে হযরতের সমীপে লুটে পড়েন। হযরত দেখলেন ঠিকই সন্তান মারা গিয়েছে। অতএব, তিনি জাফর আলীকে হিজরতের নির্দেশ দেন এবং এরূপ বলতে নিষেধ করেন। হিজরতের সময় জাফর আলী শাহ তার পড়শি জিয়াউল হুসাইনকে বললেন, “দেখ জিয়াউল হুসাইন, আমি তােমাকে ভালবাসি, তুমি প্রায়শ আমাকে সাহায্য করে থাক। তদুপরি বাবাও তােমাকে ভালবাসেন। সুতরাং আমি তােমাকে কিছু দিতে চাই। তুমি বল, ‘হে জাফর আলী শাহ! বাবা তােমাকে যেরূপ অনুগ্রহ করেছেন, তুমি আমাকেও ঐরূপ করে দাও। কারণ এ নিয়ামত না চাইতে দেওয়ার রীতি নেই’ । জিয়াউল হুসাইন তাঁকে উপহাস করে বললেন, ‘আপনার কাছে একটি থলে, একটি লাঠি ও একটি লােটা এ-ই তাে’। প্রত্যুত্তরে জাফর আলী শাহ বললেন, “আমার যা আছে, সাত বাদশাহর কাছেও তা নেই। আমি বাবার রঙ্গিন দরিয়ায় ডুব দিতে এবং নিজেকে রঙ্গিন করতে শিখেছি। তােমাকে দিলে তা কমবেনা বরং আমি ডুব দিয়ে তা পূরণ করে নেব। তােমার কপালে যেমন দু’টি চোখ আছে, অনুরূপ অন্তরেও দু’টি চক্ষু রয়েছে। তুমি আমাকে বললে বলা মাত্রই আমি তােমার অন্তরের মুদিত আঁখি উন্মােচিত করে দেব। তখন তুমিও আমার মত দেখতে পাবে’ । জিয়াউল হুসাইন বলল, আপনার পথে আপনি যান, পাগলামী করবেন না’। তিনি অবুঝ জিয়াউল হুসাইনের কথায় রাগ না করে আফসােস করে বললেন, তুমি এখনও ছােট মানুষ, বুঝ হয়নি। অতঃপর থলে হতে এক জোড়া খড়ম বের করে বললেন, তােমার বুঝ হলে এর কদর বুঝবে। তখন এ খড়ম জোড়ার ওপর দাঁড়িয়ে বলবে, ‘হে আল্লাহ! তুমি এ খড়মের বরকতে জাফর আলী শাহ আমাকে যা দিতে চেয়েছেন, তা দিয়ে দাও’। তখন তুমি আমার মত হয়ে যাবে। তােমার আম্মাকে এ খড়ম দু’টি আতর মেখে, কাপড়ে বেঁধে বাক্সে রেখে দিতে বলবে। জিয়াউল হুসাইন ঘরে গিয়ে তার মাতাকে না পেয়ে খড়ম জোড়া গােলার নীচে রেখে দিল। জাফর আলী শাহ পুনঃ ফেরত এসে তাকে খড়ম জোড়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে সে গােলার নীচে রেখে এসেছে বলে জানায়। তখন জাফর আলী শাহ বলে ওঠলেন, আরে কমবখত! তােমার কপালে নেই। আমি তােমাকে দিতে চেয়েছিলাম। পরে তার মাতা শুনে খড়ম দু’খানা তালাশ করে নিতে আদেশ দিলে গিয়ে দেখল যে, খড়ম জোড়া যথাস্থানে নেই’ । (জীবনী ও কারামত ৭৯-৮০ পৃষ্ঠা)।
উক্ত ঘটনা প্রবাহে প্রতিভাত যে, গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.) স্ব-অধিকারে, বিলায়ত দানে যে কাউকে মনােনীত করতে পারেন। তাঁর স্পর্শিত একটি কলার বরকতে বিলায়ত প্রাপ্ত একজন ওলীর খড়মের বরকতেও বিলায়ত তথা গাউসুল আ’যমের নিয়ামত লাভ করা যায়। গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী(রাদ্বি.)’র খলিফার বিলায়ত ক্ষমতা যদি এমনই হয়, তবে গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র শক্তি কেমন হবে? আছে কার এমন হিম্মত? যে ওই কুল-কিনারা বিহীন মহাসাগর গজ-ফিতায় পরিমাপের দুঃসাহস দেখাতে পারে!
সূফী কবি বলেন,
‘গাউসে আ’যম বাহরে রহমত কতরায়ে ইকরামে ঊ-
দীগর আঁরা বাহর বাশদ পস কুজা আঞ্জামে ঊ’।
 ‘গাউসে আযম দয়ার সাগর কৃপাবিন্দু তাঁর,
অন্যের তরে হয় সাগর ফের কোথা প্রান্ত তাঁর?
উল্লেখ্য যে, গাউসুল আ’যম (রাদ্বি.)’র দয়াবিন্দু যারা লাভ করেছেন, তাঁরা আধ্যাত্মিক পরিপূর্ণতায় দু’জগতে সাফল্য মণ্ডিত ও অমুখাপেক্ষী হয়েছেন। খলিফায়ে গাউসুল আ’যম হযরত আল্লামা সৈয়্যদ আব্দুস সালাম ভূজপুরী (রাদ্বি.) যথার্থই লিখেছেন-
‘গরতু করে একহী নজর ইস্ ছালামে নাপাক পর,
হুঁ ময়ঁ গনি-এ দোজাহাঁ অরনা হু ময়ঁ শমছােকর’।
(রত্নবিন্দু, ৪নং গান)
খলিফায়ে গাউসুল আ’যম হযরত আল্লামা সৈয়্যদ আব্দুল গনি কাঞ্চনপুরী (রাদ্বি.) দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন,
কলির পাপী তরাইতে, আসিল সে এ ভবেতে,
ভক্তি কৈরে নাম নিতে, দু’কূলে তরিয়া যায়।
সে সকলের শিরােমণি প্রেমাকাশের দিনমণি,
ঈমান জ্যোতে করে ধনী যে মিশে সে নূরী পায়।
সাফল্য জীবন আর, সাফল্য নয়ন তার,
তান নূরী পদ যেবা, জীবনে দেখিতে পায়। 
(প্রেম দর্পণ, ১০ নং গান)
গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র দত্তদান অকাতরে বিলিয়ে গেলেও ফুরােয়না। খলিফায়ে গাউসুল আযম আমিনে মিল্লাত গাউসে যমান হযরত শাহসূফী সৈয়্যদ আমিনুল হক ফরহাদাবাদী (রাদ্বি.)কে লক্ষ্য করে বজলুল করিম মন্দাকিনী (রাদ্বি.) লিখেন,
‘মাইজভাণ্ডারীর দত্ত ধন করছে সদা বিতরণ
যত ছাড়ে তত বাড়ে অফুরন্ত ধন রাশি।
ধর্মগুরু কৰ্ম নেতা সুহৃদয় দয়াল দাতা
দর্শনে তাপিত প্রাণ আনন্দেতে যায় ভাসি।।
সমাজে আনিলেন শান্তি নাশী লােকের ভুল ভ্রান্তি
রচনা করিয়ে কত ধর্ম গ্রন্থ রাশি।’
গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র খিলাফতের ধারাবাহিকতায় দানের ভাণ্ডার খুলে তাঁর অসংখ্য খলিফা ও খলিফাদের খলিফা যুগে যুগে স্থানে স্থানে বসে আছেন। যাদের পদধূলিতে ধন্য অজপাড়া গাঁ শা‘আয়িরুল্লাহতে রূপান্তরিত হয়েছে-হচ্ছে। গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র যুগবৃত্তে মনসবে বিলায়তের বিলি-বন্টন তাঁরই মহান সত্তা সংশ্লিষ্ট। এক্ষেত্রে বাহজাতুল আসরারে বিবৃত গাউসুল আ’যম শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী (রাদ্বি.)’র বাণী প্রমাণবহ। প্রত্যেকে আপন আপন যােগ্যতা অনুসারে জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে তারই প্রদত্ত মহান নেয়ামত লাভ করে চলছেন। আল্লামা সৈয়দ আব্দুল গণি কাঞ্চনপুরী (রাদ্বি.)যথার্থই বলেন-

“আল্লাহ মুহাম্মদ নাম, লুট পড়িছে ভাণ্ডারে।
যার কপালে যাহা আছে, তাহা মিলে সেই দ্বারে।”
অনুগ্রহ প্রার্থীরা পরিপূর্ণতায় কানায় কানায় ভর্তি বরং উপচে পড়া অনুগ্রহ লাভে ধন্য হয়েছেন। মক্ববূলে গাউসুল আ’যমের ভাষায়-
“ধনের কাঙ্গাল যারা, অগ্রে উপস্থিত তারা।
ধন পেয়েছে পেটি ভরা, খুলে পড়ি যায় বাহিরে।”
আসুন আমরাও আপন ভাগ্য বিচারিয়ে দেখতে তাঁরই মহান দ্বারে ফরিয়াদীর কাতারে দাঁড়াই। আল্লামা মকবুল কাঞ্চনপুরীর ভাষায় উদাত্ত আহ্বান রইল-
“সময় বহি গেলে ধন, না মিলে সাধুগণ।
ধন লুটিতে চল যাই, সবে মিলে শীঘ্র করে।
চল মকবুল কাঙ্গালে, দেখ বিচারি কপালে।
কর সদা তাওয়াক্কুল, নিরঞ্জন কৃপাপরে।”

গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র শান-মান।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *