খেজুরের শাখা পুঁতে কবর আযাব নিবারণ

মাওলানা মুহাম্মদ পিয়ারুল ইসলাম হারূনী

হাদীস শরীফের বর্ণনায় রয়েছে, দয়াল নবী মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (দ.) একদা দু’টি কবরের পার্শ্ব দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলেন। এমন সময় তিনি (দ.) বললেন এদের উভয়কে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে তবে তাদেরকে বড় কোন অপরাধে শাস্তি দেওয়া হচ্ছেনা। তাদের একজন প্রস্রাব কালে আড়াল করতোনা তথা সতর ঢাকতোনা। বর্ণনান্তরে রয়েছে, পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন করতোনা। আর দ্বিতীয় ব্যক্তি পরনিন্দা করে বেড়াতো।
অতঃপর তিনি (দ.) খেজুরের একটি সতেজ ডাল নিয়ে দু’খণ্ডে বিভক্ত করে উভয় কবরে একটি করে পুঁতে দিলেন। সাহাবীগণ আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি এরূপ করলেন কেন? প্রত্যুত্তরে তিনি (দ.) বললেন, ডাল দু’টি না শুকানো পর্যন্ত তাদের শাস্তি সম্ভবত হালকা করা হবে। [বুখারী ও মুসলিম]
অলির কারামত প্রকারান্তে অনুসৃত নবীর মু’জিযাহ; আর আল্লাহর কুদরতই। রহমতে আলম (দ.)’র মু’জিযাহ’র আদলে সংঘঠিত আমার পরম পূজ্য মুর্শিদে করীমের একটি কারামত নিম্নে উপস্থাপিত হল।
আলোচিত কারামত সম্পর্কে জানতে পেরে ০৯.০৭.১২ খ্রীষ্টাব্দ রোজ সোমবার সেঝ শাহযাদা আলহাজ্ব মাওলানা নজমুদ্দীন মুহাম্মদ শমসুল হুদা (ম.জি.আ.) সহ তথ্য সংগ্রহের জন্য মির্জাপুর গমন করি। সেখানে বাবাজানের ছাত্র ষাটোর্ধ্ব জনাব মুহাম্মদ মুছা পিতা মরহুম রহমান আলী সাকিন মির্জাপুর সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ হয়। তিনি বলেন, হুযুর আমাদের গৃহশিক্ষক ছিলেন। তখন আমার বাবার নিকট জানতে পারলেন যে, কালা গাজীর দীঘির অগ্নি-কোণাস্থ একটি নূতন কবর হতে তাজা রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে; যার দুর্গন্ধে চাষারা চাষাবাদ করতে পারছেনা। শুনেই হুযুর আমাকে (মুহাম্মদ মুছা) নিয়ে অকুস্থলে গমন করেন। অবস্থাদি পর্যবেক্ষণ করে আমাকে একটি খেজুরের ডাল আনতে নির্দেশ দেন। আমি খেজুরের শাখা এনে দিতেই উক্ত কবরে তা পুঁতে দিয়ে মাগফিরাতের দু‘আ করে বলেন, আজ থেকে আর রক্ত প্রবাহিত হবেনা। সত্যিই হুযুরের দু‘আর বরকতে দৃশ্যমান ওই কবর আযাব হতে নিষ্কৃতি পেল ওই কবরবাসী। আল্লামা রূমী যথার্থ বলেছেন,
‘আউলিয়া রা হাস্ত কুদরত আয্ ইলাহ; 
তীরে জুশতা বায গরদানদ যি রাহ।’
অলীদের এমন শক্তি খোদা-প্রদত্ত; 
পন্থ হতে ফেরাতে পারে তীর- নিক্ষিপ্ত’। 

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *