খারিজীয়্যাত আসছে ধেয়ে !!!

খারিজীয়্যাত আসছে ধেয়ে!!!

✍️ বোরহান উদ্দিন মুহাম্মদ শফিউল বশর

বিলায়ত সংশ্লিষ্ট কিছু মৌলিক আক্বীদাহ্ প্রশ্নে খারিজীদের ইশরাক বিল্লাহ ও শির্ক ফীন্ নবুওয়াতের অভিযোগ পুরোনো; এটি আমাদের মোটেও উদ্বিগ্ন করেনা। কিন্তু রযভী-আলক্বাদেরী অভিধায় অভিহিত কারো মন-মগজে যখন খারিজীয়্যাতের প্রসার ঘটে, তখন তা আমাকে সত্যিই উদ্বিগ্ন করে! আমার মনে পড়ে, ইংরেজদের কাছে ইবনে আব্দিল ওহাবের বিক্রি হয়ে যাওয়ার কথা! দৃষ্টির সামনে ভেসে ওঠে পবিত্র আরব ভূখন্ডের ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ!!

হারুয়ালছড়ি দরবার শরীফ থেকে প্রকাশিত শানে গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু প্রবন্ধ সম্ভারের কিছু কথা নিয়ে জনৈক রযভী-ক্বাদেরী লকবধারীর আনীত অভিযোগ এবং তা সমর্থনকারীরা অজ্ঞতা বশত নাকি বিক্রয় হয়ে এমনটি করছে, আমি জানি না। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, এই গ্রন্থের বক্তব্য ফিক্বহ ও তাসাওউফে ইসলাম সমর্থিত।
তারা যদি অজ্ঞতা বশত অভিযোগ আনেন, তবে তাদের জন্য দুইটি উদ্ধৃতি প্রদত্ত হল।

এক. আল্লামা সৈয়দ শরীফ জুরজানীর তা’রীফাত থেকে- 

” القطبية الكبرى هي مرتبة قطب الأقطاب، وهو باطن نبوة محمد عليه السلام، فلا يكون إلا لورثته، لاختصاصه عليه بالأكملية، فلا يكون خاتم الولاية، وقطب الأقطاب الأعلى باطن خاتم النبوة.
দুই. তাজুল আওলিয়া নামক পুস্তকের, 
کتاب تاج الاولیاء میں حضرت علی کرم اللہ وجہہ الکریم کا ایک خواب تحریر ہے، جو آپ نے حضرت عمر رضی اللہ عنہ کے دور خلافت میں دیکھا تھا کہ
”مسجد نبوی میں حضور صلی اللہ علیہ وسلم نماز فجر پڑھانے کے بعد تشریف فرما ہیں، کسی نے کھجوروں سے بھرا ہوا ایک طشت پیش کیا ہے اور حضور علیہ الصلوات السلام نے اسکو حاضرین میں تقسیم فرمایا— دو کھجوریں حضرت علی کو بھی مرحمت فرمائیں – آپ خواب سے بیدار ہوئے، اذان فجر ہوئی، مسجد تشریف لے گئے، حضرت عمر کے ساتھ نماز پڑھی- نماز کے بعد حضرت عمر تشریف فرما تھے کہ کھجوروں سے بھرا ہوا ایک طشت کسی نے پیش کیا- آپ نے حاضرین پر اسکو تقسیم کیا، دو کھجوریں حضرت علی کرم اللہ وجہہ کو بھی مرحمت فرمایا! آپ اپنے خواب کو بیداری کے مطابق دیکھتے ریے، سر مؤ فرق نہ تھا! پھر بھی وضاحت حقیقت کیلئے فرمایا کھجوریں اچھی ہیں، کچھ اور عنایت کیجئے!  حضرت عمر رضی اللہ عنہ نے فرمایا اگر حضور صلی اللہ علیہ وسلم آپ کو دو سے زیادہ کھجوریں مرحمت فرماتے تو عمر بھی اتنی ہی دیتا “

জনাব, আশা করি আপনাদের আনীত অভিযোগের অসারতা বুঝতে পেরেছেন।

এখানে আপনাদের ওপর পাল্টা অভিযোগ আনীত, আশা করি উত্তর দিয়ে রযভী-ক্বাদেরী লকবের প্রতি সুবিচার করবেন।
যার নামের প্রতি সম্বোধিত হয়ে আপনি/আপনারা রযভী, তিনি তাঁর হাদায়িক্বে বাখশিশ কিতাবের প্রথম খণ্ড ৬২ পৃষ্ঠায় লিখেছেন,
بزم آخر کا شمعِ فروزاں ہوا، نور اول کا جلوہ ہمارا نبی
এখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামাকে “নূরে আওয়াল কা জলওয়াহ্” তথা প্রথম নূরের কিরণ বা দ্যুতি বলা হয়েছে। একই পুস্তকের দ্বিতীয় খণ্ড ৮ পৃষ্ঠায় লিখেছেন,
تو نور اول و آخر ہے مولی، تو خیر عاجل و آجل ہے یا غوث –
এখানে গাউসে পাক রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে “নূরে আওয়াল” বা প্রথম নূর বলা হয়েছে।

রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লামাকে প্রথম নূরের কিরণ আর গাউসে পাক রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে প্রথম নূর আখ্যায়িত করে শাহানশাহে বাগদাদকে শাহানশাহে মদীনার ওপরে স্থান দেওয়া হল কিনা?

“খাইরে ‘আজেল ও আজেল” অর্থ কি ‘দুনিয়া ও আখেরাতে সেরা’ নয়? যদি তাই হয়, তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার শ্রেষ্ঠত্বকে ভূলুণ্ঠিত করা হল কিনা?

আর যদি বিক্রিত হয়ে নজদীর মতো ক্ষমতা দখল, উলামায়ে আহলে সুন্নাতের হত্যাযজ্ঞ আর পবিত্র স্থানসমূহ বিধ্বংসের স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকেন, তবে বলে দিচ্ছি, বাংলাদেশের এই পবিত্র ভূমিতে সেই খোয়াব বেতা’বীর থেকেই যাবে।

Sharing is caring!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *