শাহানশাহে কারবালার শুভাগমন

শাহানশাহে কারবালার শুভাগমন

✍️বোরহান উদ্দিন মুহাম্মদ শফিউল বশর

،احتمال آنے کا ہے پھر سے یزیدیت دور
پھر جہان نو کو ہے تیری ضرورت اے حسین!
ইহ্তিমাল আনে কা হ্যায় ফের সে ইয়াযীদিয়্যাত কা দাওর,
ফের জাহানে নও কো হ্যায় তেরী জরূরত আয় হুসাইন।

“হে হুসাইন! আসিতে পারে ফের ইয়াযীদী দুঃশাসন; নূতন দুনিয়ায় আবার তোমায় প্রয়োজন” -বেকল বলরামপূরী।
আলমুস্তাদরিক আলাস্ সহীহাইন চতুর্থ খণ্ড, ১৭১ পৃষ্ঠা, ৪৮৭১ নাম্বার হাদীস।

“আল্লাহর প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামার চাচীজান হযরত উম্মে ফদ্বল রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার খেদমতে এসে আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজ রাত আমি অপছন্দনীয় এক স্বপ্ন দেখেছি। ইরশাদ করেন, সেটি কি? বললেন, তা বড়ই জঘন্য! ইরশাদ করেন, সেটি কি? বললেন, আমি দেখেছি যে, আপনার পবিত্র দেহ থেকে একটি টুকরো বিচ্ছিন্ন হয়ে আমার কোলে পড়েছে। প্রত্যুত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা ইরশাদ করলেন, আপনি ভালো স্বপ্ন দেখেছেন; ইন্ শায়া-ল্লাহ ফাত্বিমা পুত্র সন্তান জন্ম দেবেন, তাঁকে আপনার কোলে দেওয়া হবে। অতঃপর ফাত্বিমা হুসাইনকে জন্ম দিলে তাঁকে আমারই কোলে দেওয়া হয়; ঠিক যেমনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা ইরশাদ করেছিলেন। অতঃপর একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার খেদমতে এসে তাঁকে তাঁর কোলে দিলাম। আমার দৃষ্টি পড়লে দেখতে পাই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার দুই চোখ অশ্রু বর্ষাচ্ছে! তিনি বলেন, আমি আরয করলাম, ইয়া নবীয়্যাল্লাহ্! আমার মা বাবা আপনার ওপর উৎসর্গ; আপনার কি হয়েছে? ইরশাদ করলেন, আমার নিকট জিব্রিল এসে সংবাদ দিল যে, অচিরেই আমার উম্মত আমার এই বেটাকে শহীদ করবে। জিজ্ঞাসা করলাম, এই বেটাকে? বললেন, হ্যাঁ, এবং আমাকে ওই যায়গার লাল মাটি থেকে কিছু মাটিও দিয়েছে”। এই হাদীস ইমাম বুখারী ও মুসলিমের শর্ত মতে সহীহ, কিন্তু তাঁরা উভয়ে তা সংকলন করেননি।
المستدرك على الصحيحين‘ الجزء : ٤ صفحة: ١٧١
٤٨٧١ – أخبرنا أبو عبد الله محمد بن علي الجوهري ببغداد ، ثنا أبو الأحوص محمد بن الهيثم القاضي ، ثنا محمد بن مصعب ، ثنا الأوزاعي ، عن أبي عمار شداد بن عبد الله ، عن أم الفضل بنت الحارث ، أنها دخلت على رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم فقالت : يا رسول الله ، إني رأيت حلما منكرا الليلة ، قال : ” ما هو ؟ ” قالت : إنه شديد ، قال : ” ما هو ؟ ” قالت : رأيت كأن قطعة من جسدك قطعت ووضعت في حجري ، فقال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم : ” رأيت خيرا ، تلد فاطمة إن شاء الله غلاما ، فيكون في حجرك ” فولدت فاطمة الحسين فكان في حجري كما قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم ، فدخلت يوما إلى رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم فوضعته في حجره ، ثم حانت مني التفاتة ، فإذا عينا رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم تهريقان من الدموع ، قالت : فقلت : يا نبي الله ، بأبي أنت وأمي ما لك ؟ قال : ” أتاني جبريل عليه الصلاة والسلام ، فأخبرني أن أمتي ستقتل ابني هذا ” ، فقلت : هذا ! فقال : ” نعم ، وأتاني بتربة من تربته حمراء ” .
هذا حديث صحيح على شرط الشيخين ، ولم يخرجاه .

উম্মে ফদ্বল রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহার স্বপ্নের ব্যাখ্যা, আল্লাহর প্রিয় রাসূলের পবিত্র শরীরের পবিত্র টুকরো সায়্যিদুনা ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু চতুর্থ হিজরীর মতান্তরে ৩/৫ শা’বান রোজ সোমবার ধরাধামে তাশরীফ আনয়ন করেন।

তাঁর পবিত্র বিলাদতের শুভ মাসে তাঁর ক্বদমে সালাম জানাই।
السلام یا حسین السلام یا حسین !
আস্সালাম ইয়া হুসাইন আস্সালাম ইয়া হুসাইন!
فاطمہ کے لاڈلے، اے نبی کے نور عین!
ফাত্বিমাহ্ কে লড়লে,আয় নবী কে নূরে আয়ন,
ذکر کرتے ہیں تیرا، مشرقین و مغربین –
যিকর করতে হ্যায়ঁ তেরা,মাশরিক্বায়নো মাগরিবায়ন।
السلام یا حسین السلام یا حسین !
আস্সালাম ইয়া হুসাইন আস্সালাম ইয়া হুসাইন!
مومنوں پر ہے جفا، ہر طرف بے کربلا،
মু’মিনোঁ পর হ্যায় দফা,হার ত্বরফ হ্যায় কারবালা,
آپ سے لگی ہے آس، آشک سے بھرے ہیں نین –
আপ সে লাগী হ্যায় আস, আশক সে ভরে হ্যায়ঁ নয়ন।
السلام یا حسین السلام یا حسین !
আস্সালাম ইয়া হুসাইন আস্সালাম ইয়া হুসাইন!
کیجیۓ مدد آے شاہ، زور کفر ہو تباہ،
কিজিয়ে মদদ আয় শাহ্,যোরে কফর হো তবাহ্,
پائیں اہل حق پناہ، اے دکھی دلوں کے چین –
পায়েঁ আহলে হক্ব্ পানাহ্,আয় দুঃখী দিলোঁ কে চয়ন।
السلام یا حسین السلام یا حسین !
আস্সালাম ইয়া হুসাইন আস্সালাম ইয়া হুসাইন!
نانا مالک جہاں، بھائی سید جناں،
নানা মালিকে জাহাঁ ভাঈ সায়্যিদে জিনাঁ,
لاجواب وبے مثال ، آپ کے ہیں والدین –
লা জাওয়াবো বেমিছাল,আপকে হ্যায়ঁ ওয়ালিদায়ন।
السلام یا حسین السلام یا حسین !
আস্সালাম ইয়া হুসাইন আস্সালাম ইয়া হুসাইন!
تیرے در سے ہو عطا،اے شہید کربلا!
তেরে দর সে হো আত্বা, আয় শহীদে কারবালা!
پائیں ہم خوشی کا دن، ختم ہو یہ غم کی رین –
পায়েঁ হাম খূশী কা দিন,খতম হো ইয়ে গম্ কী রায়ন।
السلام یا حسین السلام یا حسین !
আস্সালাম ইয়া হুসাইন আস্সালাম ইয়া হুসাইন!
آنکھ آشکبار ہے، تیرا انتظار ہے،
আঁখ আশকবার হ্যায়,তেরা ইন্তিযার হ্যায়,
ہو فریدی پر کرم، اے سفیر امن و چین!
হো ফরীদি পর করম, আয় সফীরে আমনো চয়ন।
السلام یا حسین السلام یا حسین !
আস্সালাম ইয়া হুসাইন আস্সালাম ইয়া হুসাইন!
– মুহাম্মদ সালমান রেযা ফরীদি

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *