✒প্রমিত মুন্তাসির পান্থ
আলিম বিল্লাহ ও বি-আমরিল্লাহ ফরহাদাবাদী মাওলানা,
আল্লাহ! আল্লাহ! তার শান কি করিব বর্ণনা।
গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী প্রভুর জ্ঞান বিতরণকারী,
যাকে জ্ঞান দানে ধন্য করি কিতাব দিয়েছি দেন ঘোষণা।
যার অন্তর ক্বলবে সলীম বিবেক যার আক্বলে সলীম,
কি বুঝিবে তার শানে আযীম কুফর নিফাক্বতে রুগ্নজনা।
যার ক্বলবে মোবারকে সদা জারি ছিল যিকরে খোদা,
আক্বিমুসসালাতা লি-যিকরি মর্মে ইক্বামতে সালাতের স্বরূপ দেখনা।
অছিয়ে হযরতের বর্ণনা মতে ‘অলীয়ে কামিল’ মাওলানা,
মহান কামিল আলিম’ আখ্যাও নয়ন খুলিয়ে দেখনা।
নির্বিলাস জীবনের পথিকৃৎ তাক্ওয়া তাঁহার প্রশ্নাতীত,
বেলায়তে মোতলাকায় আছে বর্ণিত ওরে তোরা খুলে দেখনা।
আকরাম ইন্দাল্লাহ কেন হবেনা ‘দ্বীনদার কামিলমুত্তাকী’ জনা,
মনে মনে ভেবে দেখনা ‘ইন্না আকরামাকুম’ আয়াতখানা।
হরমে কাবায় যার প্রশংসাদি গাহে হযরত সৈয়্যদ বাগদাদী,
তিনি আল্লামা ফরহাদাবাদী হীরারহাতধারী মাওলানা।
তার লিখনীর হীরার ধারে খণ্ডে ভ্রান্ত মত অকাতরে,
দেখনা চেয়ে দৃষ্টি করে শাওয়াহেদ তাওজীহাত গবেষণা।
দাফিউশ শুবহাত রচনা করে সন্দেহ সংশয় দূর করে,
বিরাট বাধা দ্বীন প্রচারে অপসারণ করলেন সেই জনা।
বজলুল করীম রূমীয়ে বাঙলা গাইলেন যার শানে আলা-
সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ ‘ধর্মগুরু কর্মনেতা’ মাওলানা।
কালামুল্লাহ বেচে কলা-মোলা খায়নি কভু সে আল্লাহ ওয়ালা,
তুহফাত সত্ত্ব দানে নেয়নি বদলা দেখ্না ১৩২৯ বাংলার প্রকাশনা।
রাসূলে খোদার মা’সূমী শানে যাদের কলম আঘাত হানে,
তাদের অনুগামী অজ্ঞজনে মাওলানার মর্যাদা বুঝেনা।
মান আদা লী অলিয়ান হাদীসে কুদসী খোদার ফরমান,
পান্থ বলি হওরে সাবধান নইলে দু’কূল হবে অয়রানা।