গাউসে যমান আল্লামা ফরহাদাবাদী (রাদ্বি.)’র উরসে পাক সম্পন্ন
ব্যাপক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে হারুয়ালছড়ি দরবার শরীফে উরসে পাকে গাউসে যমান মুহসিনে আ’যম আল্লামা আমিনুল হক্ব ফরহাদাবাদী (রাদ্বি.) উদযাপন ।
হারুয়ালছড়ি দরবার শরীফের প্রাণসত্তা মুর্শিদে করীম হাদীয়ে যমান (রাদ্বি.)’র সূচিত ধারায় গেল ২৬ অগ্রহায়ণ ১১ ডিসেম্বর শনিবার হারুয়ালছড়ি দরবার শরীফে উরসে পাকে গাউসে যমান মুহসিনে আ’যম আল্লামা আমিনুল হক্ব ফরহাদাবাদী (রাদ্বি.) উপলক্ষে তাযকিরাহ-মিলাদ ও সেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শাহযাদা আল্লামা এস. এম. জাফর ছাদেক আল আহাদী (ম.জি.আ)’র সভাপতিত্বে মাহফিলে আলােচনা করেন শাহযাদা আল্লামা বােরহান উদ্দীন মুহাম্মদ শফিউল বশর (ম.জি.আ)।
মাইজভাণ্ডারী ত্বরীকা দর্শনের মহত্ব তুলে ধরে সুন্নিয়তসহ এ ত্বরিকা-দর্শনের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে আল্লামা ফরহাদাবাদী (রাদ্বি.)’র অপরিসীম অবদানের কথা তুলে ধরে বক্তাগণ বলেন- হযরত গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (রাদ্বি.)’র বাণী ‘আমার আমিন মিঞাকে ছয়টি কিতাবের একটি দিয়েছি’ মর্মে কিতাব জ্ঞানলাভের মাধ্যম হিসেবে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী’র ত্বরিকা-দর্শনের প্রকৃত জ্ঞানলাভের অন্যতম বিশেষ অবলম্বনই হচ্ছে আল্লামা ফরহাদাবাদী (রাদ্বি.)। আর ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা আজিজুল হক শেরে বাংলা (রা.)’র অভিমত তুলে ধরে সুন্নি জনতার উদ্দেশ্যে বিশেষ সতর্ক করে বলেন, এদেশে সুন্নিয়তের প্রধান স্তম্ভই হচ্ছে আল্লামা ফরহাদাবাদী (রাদ্বি.)। তাই এই মহান ‘মুহসিনের’ ইহসানের প্রতি সকলের কৃতজ্ঞ হওয়া আবশ্যক।
মাওলানা মকসুদুর রহমান আল হারূনীর সঞ্চালনায় মিলাদ শরীফ শেষে মুনাজাত এর মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা সমাপ্ত হয়। সারারাত ব্যাপী সেমা মাহফিল ও বাদে নামাযে ফজর আখেরি মুনাজাত ও মহান ২৭ অগ্রহায়ণ, ১২ ডিসেম্বর রবিবার গাউসে যমান আল্লামা ফরহাদাবাদী (রাদ্বি’)র রওযা শরীফে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ-কিয়াম- মুনাজাত ও সেমা মাহফিলের মাধ্যমে উরস শরীফের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।