ধ্বংসের অতল গহ্বরে তলিয়ে যাবে নিন্দুক

Burhan Uddin

বোরহান উদ্দিন মুহাম্মদ শফিউল বশর

.

আলহামদুর প্রশংসা যত সব তোমারই শর্তগত,

মুহাম্মদের কিবা অর্থ এই নামে ডাকিলা কারে?

– বজলুল করীম মন্দাকিনী (রহ.)।

মুহাম্মদ বা পরম প্রশংসিত সত্তা হন নবীয়ে পাক সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামা; যার প্রশংসা স্বয়ং স্রষ্টা করেন। আবূ জাহাল, আবূ লাহাব ও ইবনে মুগীরাহ্’র মতো কতিপয় বিবেক ভ্রষ্ট মাথা নষ্ট লোক ছাড়া কেউই তাঁর নিন্দাবাদ করতে পারে না। ওই পবিত্র সত্তার নিন্দায় যারাই মেতেছে, তাদের প্রত্যেকেই আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে।

মুক্তচিন্তার নামে যে সকল সাইকো প্রিয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামার প্রতি আঙ্গুল তুলছে, তারা যদি আবূ জাহাল, আবূ লাহাবের ঔরষ্যের ইসলাম গ্রহণের ইতিহাসে মনোযোগ দিত; তবে রাসূলুল্লাহ’র ঔদার্য ও চারিত্রিক মাধুর্য কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারত।

ইকরামাহ্ বিন আবী জাহাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু শুধু ইসলাম গ্রহণ করেননি, ইসলামের জন্য জান-মালও উৎসর্গ করে দিয়েছেন। ইয়ারমূকের যুদ্ধে সত্তরের অধিক আঘাত জর্জরিত হয়ে শাহাদাতের সুধা পানে ধন্য হন; ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিঊন।

আবূ লাহাব তনয় উৎবাহ্ ও মা’তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা ইসলাম গ্রহণের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামা’র সাথে হুনাইন ও ত্বায়েফের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। হুনাইনে মা’তাবের চক্ষু আক্রান্ত হয়েছিল।

শত্রুর মিত্রতে রূপান্তরের নজির হয়তো ইতিহাসের পাতায় পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু জান-মাল উৎসর্গ করে দেওয়ার দৃষ্টান্ত কেবল ইসলামের ইতিহাসেই রয়েছে। রাজসিংহাসনে অনেক রাজা বাদশাহ অধিষ্ঠিত হয়েছেন, হৃদয়রাজ্যের রাজত্ব কেবল মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামা’রই। জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ভাষায়,

হে রাসুল!

বুঝিনা আমি

রেখেছো বেঁধে মোরে কোন সূতোয় তুমি

জানিনা গোপনে
কেমন করে
হৃদয়ে গড়েছো প্রেমের বলয়
তোমারি নামে আনন্দে দুলি
তোমারি নামে দুনিয়া ভুলি
কী যাদু রাখা এই নামে তে
খোদারও পরশে যে নাম আরশে
নাম মুহাম্মাদ শুধু মধুময়
স্বার্থবিহীন ছিলে চিরদিন
তুমি ইনসাফের প্রতীক
কুল আলমের শ্রেষ্ঠ নিয়ামাত
তুমি যে প্রাণের অধিক
তুমি প্রিয়তম আমিনা নন্দন
কুল মুসলিমের হৃদয় স্পন্দন
তুমি বিনে সবি অন্ধকার

থাকিতে দেহে প্রাণ

তোমারি সম্মান

দেবোনা দেবোনা লুটাতে ধুলোয়……